December 5, 2024 3:46 pm

২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

December 5, 2024 3:46 pm

২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Kolkata News: রাত হলেই চলে দুষ্কৃতীদের আড্ডা! ভেতরে ঢুকতেই চক্ষু চড়ক গাছ স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের, তারপর…

Facebook
Twitter
LinkedIn
Pinterest
Pocket
WhatsApp

কলকাতা: রাস্তা থেকে হঠাৎ করেই গেট পেরিয়ে ভেতরে ঢুকলেই মনে হবে, পুরনো কোনও রাজা কিংবা সম্রাটের সৃষ্টির ধ্বংসাবশেষে এসে পৌঁছেছেন। কারণ সারা কলকাতায় এইরকম প্রাচীনতম বাড়ির খুব একটা অভাব নেই। সবাই এটাকে এফসিআই গোডাউন বলেই জানে। যা তৈরি হয়েছিল স্বাধীনতার অনেক পরে। সাধারণ মানুষের করের টাকায় তৈরি অত বড় বিল্ডিং থেকে আরম্ভ করে গোডাউন,মেশিনপত্র সব নষ্ট হচ্ছে,চুরি হচ্ছে।

৭৬,ডক্টর দেওধর রহমান রোড, মঙ্গলবার এই ঠিকানায়, কলকাতা কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী এবং ডাক্তাররা বেলা বারোটা নাগাদ এসে পৌঁছান।তাদের কাছে খবর ছিল, এফসিআই এর এই গোডাউনে জঙ্গল, জল জমে রয়েছে।যার ফলে মশার উপদ্রব রয়েছে।যদিও এই গোডাউনটি রাজ্য সরকারের ফুড এন্ড সাপ্লাই দেখভাল করে।ভেতরে ঢুকে গিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের চক্ষু চড়ক গাছ হয়ে যায়।

আরও পড়ুন-সত্যিই কি অন্তঃসত্ত্বা? কবে মা হচ্ছেন ক্যাটরিনা? আসল সত্য ফাঁস হতেই তোলপাড়

আরও পড়ুন- বিছানায় শয্যাশায়ী জিনাত আমন! ১০ দিন ধরে ভয়ঙ্কর ফ্লু-তে আক্রান্ত, এখন কেমন আছেন অভিনেত্রী?

যেখানে সেখানে জল জমে রয়েছে,যার ফলে মশার লার্ভা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে ড্রোন উড়িয়ে মশা মারার ওষুধ স্প্রে করা হয়।কারণ ডেঙ্গু,ম্যালেরিয়া প্রকট ভাবে থাবা বসিয়েছে।  স্থানীয় কাউন্সিলর রত্না মজুমদার বলছিলেন, তিনি সংশ্লিষ্ট দফতরকে বহুবার চিঠি দিলেও, ওই এফসিআই গোডাউনে কোনও সংস্কার হয়নি।যদি সংস্কার করা হত,তাহলে সন্ধ্যা হলে দুষ্কৃতীদের আড্ডা কিম্বা ঝোপঝাড়ে ভর্তি মশা, পোকা-মাকড়ের উপদ্রব হত না।তিনি এও যোগ করেন,স্বাধীনতার পরে তৈরি সরকারি জিনিসপত্র সংশ্লিষ্ট দফতরের অবহেলায় চুরি হয়ে গেল এবং নষ্ট হয়ে গেল!

খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ভোজ্য তেলের রিজার্ভার ছিল ওখানে। তেলের ট্যাঙ্ক থেকে আরম্ভ করে পিউরিফাইং মেশিন ছিল ওখানে। সেগুলো এখন অতীত।গোডাউন গুলো এমন নয় যে, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এখনও রক্ষণাবেক্ষণ করলে ব্যবহারযোগ্য হতে পারে। তবুও পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে সমস্ত কিছু।রত্না মজুমদার জানান, তিনি কর্পোরেশনের তরফ থেকে ওটিকে সুন্দর করে সাজিয়ে দূষণ ও দুষ্কৃতি মুক্ত করতে চান।  তবে সরকারি জিনিস অর্থাৎ জনগণের করের টাকার সম্পত্তি যেভাবে নষ্ট হচ্ছে, তাতে উপস্থিত থাকা অনেকেই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন।

Published by:Riya Das

First published:

Tags: Kolkata News

source

Facebook
Twitter
LinkedIn
Pinterest
Pocket
WhatsApp

Related News

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top