নিজস্ব প্রতিবেদক: নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান জানিয়েছেন, ‘স্মৃতিসৌধ আমাদের শহিদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান দেখিয়ে নির্মিত। আমি ও আমার সহকর্মীরা এখানে এসেছি তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে, দেশের সংবিধান তৈরি হয়েছে। এই সংবিধানকে সংরক্ষণ করা আমি ও আমার সহকর্মীদের প্রত্যেকের পবিত্র দায়িত্ব। আমরা সেভাবেই শপথ নিয়েছি।’
আরও পড়ুন: নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ২টা ২০ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধের মূল বেদিতে বীর শহিদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ১ মিনিট নিরবতা পালন করেন এই বিচারপতি। পরে স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন ও নিজের মন্তব্য লেখেন।
মন্তব্যে তিনি লেখেন, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলার স্বাধীনতার আন্দোলনে শাহাদৎবরণকারী সব শহিদদের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী ৩০ লাখ শহিদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। শ্রদ্ধা জানাই ২ লাখ মা-বোনের প্রতি। জাতীয় স্মৃতিসৌধে দাঁড়িয়ে প্রতিজ্ঞা করছি , মহান আদর্শ আমাদের বীর জনগণকে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করতে উদ্বুদ্ধ করেছিল।
আরও পড়ুন: বাড়তে পারে তাপমাত্রা
তিনি আরও বলেন, জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার মূলনীতিসমূহ আমি বাংলাদেশর প্রধান বিচারপতি হিসেবে ও ব্যক্তি জীবনে দৃঢ়ভাবে অনুসরণ করবো। বীর শহিদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ও এর সুপ্রিম কোর্ট। বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে আমি ও সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের পক্ষ থেকে সব শহিদদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।
এর আগে, সকাল ১১টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ওবায়দুল হাসানকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। গত ১২ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন।
সান নিউজ/এএ