Jyotipriya Mallick’s money to Shankar who would deliver? What did say Biswajit, caught in the ration case
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক : রাজ্যের ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের টাকা কিভাবে শঙ্কর আঢ্যর কাছে পৌঁছাতো। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের টাকা বিশ্বজিৎ দাস, শঙ্কর আঢ্যকে পৌঁছে দিতেন। রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এমনটাই দাবি করেছে ইডি। শঙ্করের কাছে বালুর যে টাকা পৌঁছত, তা হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রায় বদলে ফেলা হত।পাচার করে দেওয়া হত দুবাইয়ে। সেই কাজেও সহযোগিতা করতেন বিশ্বজিৎ দাস, দাবি ইডির। শুক্রবার সকালে ধৃত ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎকে নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বার হন ইডি আধিকারিকরা। কলকাতার ইডি দফতর থেকে বেরোনোর সময় বিশ্বজিৎ বলেন, তার সঙ্গে অন্যায় হচ্ছে। তিনি একজন ব্যবসায়ী। রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নই। তাঁকে গাড়ি করে নিয়ে বেরিয়ে যায় ইডি। ধৃত ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎকে মঙ্গলবার রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করে ইডি। সল্টলেক থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। বিশ্বজিৎ দাস রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত শঙ্করের ঘনিষ্ঠ বলে খবর।
গত ৫ জানুয়ারি বনগাঁয় শঙ্করের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। প্রায় ১৭ ঘণ্টা তল্লাশির পর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ফরেক্স বা বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার ব্যবসা বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্করের। পাশাপাশি নিজের নামে এবং আত্মীয়-পরিজনদের নামে ৯০টির বেশি ফরেক্স সংস্থা রয়েছে। ওই সংস্থার মাধ্যমে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে লেনদেন করেছেন শঙ্কর দাবি ইডির, এবম আদালতেও ইডি জানিয়েছে। প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে লেনদেনের মধ্যে অন্তত ৯ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা রেশন মামলায় ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। দুবাইতে শঙ্করের একটি সংস্থার খোঁজ পায় ইডি। সূত্রে, তদন্ত করতে গিয়ে জানতে পারে ইডি বিশ্বজিৎও শঙ্করের মতো ফরেক্স বা বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। সেই সাপেক্ষে শঙ্করের সঙ্গে বন্ধুত্ব।