সংসারে অর্থের অভাব মেটাতে রান্নাঘরে লাগান গাছ ও এই স্থানে রাখুন ঠাকুরের সিংহাসন
বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী প্রতিটি দিকের জন্যই রয়েছে আলাদা-আলাদা নিয়ম। যেমন বিছানা, আলমারির মত ভারি আসবাবপত্র অ সিঁড়ি দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রাখা উচিত। আবার খাবারের জায়গা মূল দরজার কাছে করা উচিত নয়। বাড়ির প্রধান প্রবেশপথটি উত্তর, পূর্ব অথবা উত্তর-পূর্ব দিকে করা উচিত। সেরকমই, বাস্তুশাস্ত্রে বলা হচ্ছে, এই দুটি গাছ যদি আপনি আপনার রান্নাঘরে রাখেন তাহলে আর্থিক দিকে উন্নতি হওয়ার পাশাপাশি অনেকটাই কমাতে পারবেন বাড়তি খরচ।
তুলসি গাছঃ
হিন্দুধর্ম অনুসারে, আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতেই প্রায় তুলসী গাছে জল দেওয়া হয় এবং ধূপ-মোমবাতি দিয়ে পুজা করা হয়ে থাকে। যদি আপনি রান্নাঘরের জানলার ধারে এই গাছটি রাখেন, তাহলে বাড়ি থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর হবে ও প্রবেশ করবে ইতিবাচক শক্তি। আর্থিক দিক থেকেও উন্নতি ঘটবে।
অ্যালোভেরা গাছঃ
রান্নাঘরে অ্যালোভেরা গাছ রাখা অত্যন্ত শুভ। এমনিতেই প্রায় অনেকের এই গাছটি বাড়িতেই দেখা যায়। বাস্তুশাস্ত্র মতে আর্থিক সংকট থেকে মুক্তি পেতে রান্নাঘরের এখনই এই গাছ রাখুন। সংসারের কু-নজর দোষও কেটে যায়।
অপর দিকে, বাস্তু মেনে ঠাকুরঘরে ঠাকুরের সিংহাসনটি ঠিক জায়গায় রাখতে পারলেও সংসারে ঘটবে অর্থের আগমন। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাড়ির বাস্তুর কোনও সমস্যা থাকলে শুধু যে সংসারে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব বাড়ে, তা-ই নয়, জলের মতো বেরিয়ে যায় টাকা, পয়সা, সম্পদ৷ তাই বাড়ির মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ও সবচেয়ে পবিত্র স্থান হল ঠাকুরঘর। তাই ঠাকুরঘরের কোনও ভুলত্রুটি মানেই পরিবারকে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।
বাস্তুশাস্ত্র মতে, বাড়িতে ঠাকুরঘর বা উপাসনাস্থল কখনওই দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে হওয়া উচিত নয়। তাহলে সকলকেই সমস্যায় পড়তে হবে। যদি দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে হয় তাহলে বাড়িতে সর্বদা ঝগড়ার পরিবেশ বজায় থাকবে। ঈশান কোণ বা উত্তর দিকে ঠাকুরঘর হওয়া উচিত। ঠাকুরঘরে দেবী-দেবতাদের আসন এমন স্থানে হওয়া উচিত, যাতে পুজো করার সময়ে ব্যক্তির মুখ পূর্ব দিকে থাকে। পাশপাশি, সিংহাসনের প্রস্থ কখনও উচ্চতার চেয়ে বেশি হওয়া উচিত নয়। বাড়ির মধ্যে ঠাকুরের জন্য সিংহাসন সর্বদা দৈর্ঘ্য প্রস্থের চেয়ে দ্বিগুণ হওয়া উচিত। আবার ঠাকুর রাখার স্থান এতটাই উঁচু হওয়া উচিত, যাতে সেটি ব্যক্তির হৃদয়ে সমান্তরালে থাকে।