Three promoters and construction workers were arrested in connection with the death of the wall.
কলকাতা
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
নির্মীয়মান বিল্ডিং ভেঙ্গে পড়ে মৃত্যুর ঘটনায় ৩ প্রোমোটার সহ কন্টাক্টার দুজন লেবার ইনচার্জকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মোট ৬জন গ্রেফতার। গ্রেফতার করলো বিমানবন্দর থানার পুলিশ। সাজিব সেন ওরফে সাজু
গৌতম দে ,সৌভিক মজুমদার তিনজন হল প্রোমোটার। অজয় পাতিল হলো কন্টাকটার
তিন প্রমোটার ও একজন কন্ট্রাক্টর ও দুইজন লেবার কন্ট্রাক্টর গ্রেফতার
শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে শরৎ কলোনির শরৎ বসু রোডে। পুলিশ সূত্রে খবর, নির্মীয়মান বিল্ডিং এর দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক গৃহবধূর। মৃতের নাম কেয়া শর্মা চৌধুরী (৫০), তার বাড়ি এয়ারপোর্ট থানার শরৎ কলোনিতে। বেশ কিছুদিন ধরেই শরৎ কলোনিতে একটি বহু তল নির্মাণের কাজ চলছিল। এদিন সকাল থেকেই পাঁচতলার উপরে দেয়াল গাথার কাজ চলে। অভিযোগ, রাত সাড়ে আটটা নাগাদ হঠাৎই সেই দেওয়াল হুরমুড়িয়ে ভেঙে নিচে পড়ে। সে সময় ওই বিল্ডিং এর গলি দিয়েই হেঁটে যাচ্ছিলেন কেয়া শর্মা চৌধুরী। তার মাথার ওপর ইট খসে পড়ে। মাথা ঘাড় সহ একাধিক জায়গায় আঘাত হয়। স্থানীয়রা যখম অবস্থায় তাকে নিয়ে যায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। পরে তিনি মারা যান। ঘটনার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মানুষ। তারা বিল্ডিংয়ের নিচে জড়ো হয়ে প্রোমোটারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান। অনেকেই গার্ডেনরিচ কান্ডের কথা বলেন।
এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সঠিক তদন্তের আশ্বাস দেন। এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে শরৎ কলোনিতে। পরে অবশ্য এই ঘটনা সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে উত্তর দমদম পৌরসভার পৌর প্রধান বিধান বিশ্বাস। মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে এবং সমস্ত রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন, বিধান বিশ্বাস চলে যাওয়ার পরে পরবর্তীতে দেখা যায় দমদম কেন্দ্রর বিজেপি প্রার্থী শিল ভদ্র দত্ত ঘটনাস্থলে আসেন এবং তীব্র নিন্দা জানান। রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন দমদম লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী।