Justice Amrita Sinha ordered the demolition of 14 illegal constructions.
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
একটি নয় দুটি নয় একই জায়গায় পরপর চৌদ্দটি বেআইনি নির্মাণের হদিস শহর কলকাতায়! অবিলম্বে ভেঙে ফেলতে নির্দেশ হাইকোর্টের*
নিকেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে এল কেউটে! যত কাণ্ড সেই নারকেলডাঙ্গা থানা এলাকাতেই। এবার এই থানা এলাকার তিন নম্বর বরোর ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে একটি দুটি নয় পরপর চৌদ্দটি বেআইনি নির্মাণের হদিশ পেল কলকাতা পুরসভা। এর আগে ওই এলাকায় দেদার বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে এই অভিযোগে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। মামলার প্রেক্ষিতে পুরসভার আধিকারিকদের স্পট ইন্সপেকশনের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। মঙ্গলবার পুরসভার তিন ইঞ্জিনিয়ার রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছেন ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৪৪/১ ক্যানাল ইস্ট রোডে এমন মোট 14 টি নির্মাণ রয়েছে যেগুলির কোন স্যাঙ্কশন প্ল্যান নেই। বিষয়টি শোনার পরই বিচারপতি সিনহা এদিন প্রশ্ন তোলেন এতদিন ধরে, কলকাতা পুরসভা কি করছিল? যদিও পুরসভার আইনজীবী জানান, ইতিমধ্যেই ওই বেআইনি নির্মাণ গুলিকে পুর আইনের ৪০১ নম্বর ধারায় নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কিভাবে পুরসভার নজর এড়িয়ে পরপর চৌদ্দটি বেয়াইনি নির্মাণ গড়ে উঠল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আদালত।
এরপরই নির্দেশে বিচারপতি জানিয়েছেন, অবিলম্বে ডিজি বিল্ডিংকে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আগামী সাত সপ্তাহের মধ্যে ওই ১৪ টি বেয়াইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে বলেও নির্দেশে উল্লেখ করেছেন বিচারপতি সিনহা।
উল্লেখ্য এর আগে এই নারকেলডাঙ্গা থানা এলাকাতেই একটি বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগে সরব হয়েছিল কলকাতা পুরসভা। সেই ঘটনায় নারকেলডাঙ্গা থানার ওসিকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। আরো একবার সেই নারকেলডাঙ্গা থানা এলাকাতে ই পরপর চৌদ্দটি বেআইনি নির্মাণের হদিশ
রয়েছে তা কবে সামনে আসবে? এ ব্যাপারে পুরসভার সদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে!