About 40 families stranded while traveling in Kashmir, appeal for government help to return home
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক : কলকাতার সিঁথি দমদম থেকে তেরো দিনের ছুটি কাটাতে গিয়ে কাশ্মীরে আটকে পড়েছেন কলকাতার বাসিন্দা প্রভাত জানা ও তাঁর পরিবার। গত তিনদিন ধরে ওই পরিবার আটকে রয়েছেন কাশ্মীরের কুচিপুরা জায়গায়। বাড়ির ফেরার কোনও কুলকিনিরা খুঁজে পাচ্ছেন তারা। রাজ্য সরকারের কাছে সহযোগিতা চাইছেন।
কলকাতার সিঁথি দমদমের বাসিন্দা প্রভাত জানা। প্রভাত জানার পরিবার সহ আরও চারটি পরিবার একসঙ্গে বেড়াতে যান কাশ্মীরে। ১১ ফেব্রুয়ারি বেরিয়েছিলেন কাশ্মীরের উদ্দেশ্যে। কাশ্মীর পৌঁছান ১৪ তারিখে। ২১ তারিখ তাদের বাড়ি ফেরার টিকিট কাটা থাকে। কিন্তু মাঝপথেই আটকে যান ওই পরিবার। কাশ্মীরের কুচিপুরায় আটকে রয়েছেন তাঁরা।শ্রীনগর থেকে জম্মু হাইওয়ে ওপরে অবস্থিত কুচিপুরা।
প্রভাত জানার সঙ্গে দ্যা হোয়াইট বাংলা যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বানিহাল ট্যানেলের কাছে তুষারপাত হওয়ার ফলে ল্যান্ডস্লাইড (ধস) হয়।তার ফলেই রাস্তা আটকে দেওয়া হয়। তিনদিন আটকে রয়েছে এই কুচিপুরাতে। কাশ্মীর পুলিশ কোনও সহযোগিতা করছে না ট্যুরিস্টদের সঙ্গে এমনটাই অভিযোগ প্রভাত জানার। তিনি বলেন, প্রাইভেট গাড়ি ছেড়ে দিলেও ট্যুরিস্টদের ছাড়ছেনা ওখানকার পুলিশ। তিনি আরও জানান, শুধু তাঁর পরিবার নয়, প্রায় ৩০-৪০টি পরিবার আটকে রয়েছেন কুচিপুরায়। সেনাবাহিনী সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেও কাশ্মীর পুলিশ কোনও সাহায্য করছেন না বলে অভিযোগ করেন ট্যুরিস্ট প্রভাত জানা।
থাকা, খাওয়ার জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে ওখানকার স্থানীয়দের উপর। তুষারপাত হওয়ায় মাইনাস ৫-৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা কুচিপুরায়। একটা ঘরে ১০ জন করে একসঙ্গে থাকতে হচ্ছে। পুরুষদের তুলনায় মহিলা ও শিশুদের ক্ষেত্রে খুব অসুবিধার মুখে পড়তে হচ্ছে।এই পরিস্থিতির পুরোপুরি সুযোগ নিচ্ছেন স্থানীয়রা। ঘর ভাড়া দাম বেশি বাড়িয়ে বলছেন। খাবারের দাম বাড়িয়ে বলছেন। পর্যাপ্ত টাকা নিয়ে বেরিয়েছেন এই পরিবার দাম বেশি বলার ফলে থাকা-খাওয়ার অসুবিধা দেখা দিচ্ছে। তবে শুধু প্রভাত জানার একার অসুবিধা নয়, এখানে ঘুরতে আসা সকলের একই অবস্থা।
কলকাতার বেলেঘাটা, দমদম ছাড়াও মহারাষ্ট্র, বর্ধমান, হায়দরাবাদ, ইউপি থেকে বহু ট্যুরিস্ট এসেছেন কাশ্মীর ঘুরতে। কিন্তু সকলেই বাড়ি ফেরার সময় আটকে পড়েছেন কুচিপুরায়। রাস্তা কখন খুলবে সে বিষয়ে কাশ্মীর পুলিশ ঠিক করে কোনও তথ্য দিতে পারছেন না। তাতে ক্ষোভ বাড়ছে ট্যুরিস্টদের মধ্যে। বাড়ি ফেরা কবে হবে সে নিয়ে অনিশ্চিয়তার মধ্যে রয়েছেন এই ৪০টি পরিবার।