The Supreme Court gave a historic verdict, women cannot be dismissed from their jobs on the pretext of marriage
দেশ
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক : যে নিয়মগুলি মহিলা কর্মচারীদের বিবাহের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে তা অসাংবিধানিক। বিয়ের ভিত্তিতে মেয়েদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা যাবে না,-একটি মামলার শুনানির সময় মহিলাদের স্বার্থে ঐতিহাসিক রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট।
উল্লেখ্য, আবেদনকারী হলেন সেলিনা জন, ২৬ বছর ধরে এই লড়াই করেন। ১৯৮৮ সালে ওই মহিলার চাকরি চলে যায় সামরিক নার্সিং পরিষেবা থেকে। সেলিনা জনকে সামরিক নার্সিং পরিষেবার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছিল। তিনি প্রশিক্ষণার্থী হিসাবে দিল্লির আর্মি হাসপাতালে চাকরি পেয়েছিলেন। এনএমএসে লেফটেন্যান্ট পদে কমিশন লাভ করেন। তারপর একজন সেনা অফিসার মেজর বিনোদ রাঘবনকে বিয়ে করেন। হঠাৎই তাঁকে কর্মরত অবস্থায় সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত করা হয়। কোনও কারণ না দেখিয়ে, কোনও নোটিশ না দিয়ে এবং বলার কোনও সুযোগ ছাড়াই তাঁকে চাকরি থেকে বার করে দেয়। বিষয়টি যখন সশস্ত্র বাহিনী ট্রাইব্যুনালে পৌছায়,তখন আদেশটি বাতিল করা হয়েছিল। বেতনের বকেয়া, আনুষঙ্গিক সুবিধা প্রদান করা হয়েছিল এবং চাকরিতে পুনর্বহাল করার অনুমতিও দেয়।এরপরই পুরো বিষয়টির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। সুপ্রিম কোর্ট বলে, যে নিয়মগুলি শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য প্রযোজ্য সেগুলি স্বেচ্ছাচারী নিয়ম। সুপ্রিম কোর্ট জানায় একজন মহিলার বিয়ে করাকে লিঙ্গ বৈষম্য এবং অসমতার একটি গুরুতর ঘটনা হিসাবে দেখিয়ে চাকরির অবসান করানো হয়েছে।টানা ২৬ বছরের আইনি লড়াইয়ে পর বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত কেন্দ্রকে নির্দেশ দেন সেলিনা জন নামে ওই প্রাক্তন নার্সকে ৬০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।