Justice Jay Mallya Bagchir division bench has summoned the report to the state chief secretary in the case of recruitment corruption.
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সিবিআইয়ের তদন্তের গতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবিরেশ ভট্টাচার্য্য, অশোক সাহা, জীবন কৃষ্ণ সাহার জামিন সংক্রান্ত মামলায় সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি।তদন্তে গতি এত ধীর গতিতে কেন প্রশ্ন বিচারপতির।রাজ্যের মুখ্য সচিব এর কাছে রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের।
সিবিআইয়ের পক্ষে অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল আইনজীবী অশোক চক্রবর্তী শুক্রবার আদালতে জানান প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের ক্ষেত্রে রাজ্যপাল তিনটে মামলার অনুমোদন দিয়েছিলেন সিবিআইকে। বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহার একটি মামলায় বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অনুমতি দিয়েছেন । রাজ্যের মুখ্য সচিবকে বাকিদের জন্য চিঠি পাঠিয়েছিল সিবিআই। আজ পর্যন্ত মুখ্য সচিবের পক্ষ থেকে সেই চিঠির সদুত্তর পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ।
বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী কেন্দ্রের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে মুখ্য সচিবকে চিঠি সিবিআই দিয়েছিল সেটা দেখতে চেয়ে ছিলেন
সিবিআইয়ের পক্ষে অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল আইনজীবী অশোক কুমার আইনজীবী আদালতকে দেখান সেই চিঠি ।সিবিআই যে চিঠি দিয়েছে তার প্রেক্ষিতে তার কি মতামত জানতে চাইলেন বিচারপতি।
বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী কেন্দ্রীয় অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল অশোক চক্রবর্তী র উদ্দেশ্যে বলেন” যেখানে আদালত নির্দেশ দিচ্ছে তদন্ত করার এবং রাজ্য পুলিশের কাছ থেকে তদন্ত নিয়ে সিবিআই কে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সেখানে এতো অনুমোদনের আদও প্রয়োজন ছিল ? আদালতের নজরদারিতে তদন্ত চলছিল তখন এত অনুমোদনের প্রয়োজন আইন অনুযায়ী ছিল না মন্তব্য বিচারপতির।তদন্ত শেষ হয়ে যাবার কথা । এক বছরে বেশি সময় পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা । লালু প্রসাদের কেসের ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি তদন্তকারী সংস্থার দেরি হতেই জামিন পেয়েছিল লালু। তদন্ত শেষ করতে এত দেরি কেনো ? আসামি কে গ্রেফতার করে রেখে তাকে জিজ্ঞাসা করার নির্দিষ্ট দিন আছে । নিম্ন আদালতে বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে জেলে থাকতে হবে এমন বাধ্য বাধকতা নেই । “পার্থ চট্টোপাধ্যায় একজন মন্ত্রী ছিলেন ।তিনি খুনের আসামি নয়”যে তাকে হেফাজতে রেখে পুরো তদন্ত শেষ করতে হবে সিবিআইকে। নিম্ন আদালতে বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগেই আসামি তার প্রাপ্য সাজা পেয়ে যাচ্ছে। সিবিআইয়ের ভূমিকা দুর্ভাগ্যজনক।তদন্তকারী সংস্থাকেতদন্তে গতি আনতে হবে ।এক বছরের বেশি জেল হেফাজতে ।এর মধ্যে তদন্ত শেষ করতেই পারতো সিবিআই? মন্তব্য বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর।
আগামী ৩রা এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানি।