After 56 days in the cage, Sheikh Shahjahan was taken to the Basirhat Sub-Divisional Court. Court orders 14 days police custody.
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
পুলিশের পক্ষ থেকে ১৪ দিনে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করলেও বসিরহাট সাপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন পাশাপাশি তাকে শোন আরেস্ট অনুমতি দিয়েছে আদালত। ৫৬ দিনের মাথায় খাঁচায় বন্দি হলো সন্দেশ কারীর বাঘ শেখ শাহাজাহান।গত ৫ই জানুয়ারি ২০২৪ রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় ইডি আধিকারিকদের ওপর আক্রমণের ঘটনাযর পাশাপাশি একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু। তার বিরুদ্ধে জমি দখল অশান্তি পাকানোর মতো ঘটনাও একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সন্দেশখালির ৪৯টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ প্রশাসন।
বসিরহাট মহকুমা আদালতে প্রথম দেখতে পাওয়া গেল শেখ শাহজাহানকে। সাদা পাঞ্জাবি পরিহিত শাহজাহানকে কিছুক্ষণের জন্য পুলিশ লকের থেকে বার করে নিয়ে আসা হয়। সন্দেশখালি চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে মামলার শুনানি শুরু হবে কিছুক্ষণ আগেই শেখ শাহজাহানকে তাকে পুলিশ লকার থেকে বার করে কোট লকাপে নিয়ে যাওয়া হল। পুলিশি নিরাপত্তা চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে বসিরহাট সাব ডিভিশনাল আদালত চত্বর। অ্যাডিশনাল চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে মামলার শুনানি শুরু হবে
এডিজি দক্ষিণ বঙ্গ সুপ্রতিম সরকার জানিয়েছেন বুধবার রাতে মিনাখা বামুনপুকুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে আইনের বাধ্যবাধকতার কারণেই সমস্যা তৈরি হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন এডিজি। ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনার পরেও কেন তারা গ্রেপ্তার করলো না প্রস্তুত তুলেছেন এডিজি দক্ষিণ বঙ্গ সুপ্রতিম সরকার।
সন্দেশখালীর ত্রাস শেখ শাহজাহান। গত ৫ই জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি বন্টন মামলায় উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশ খালি শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত হয় ইডি আধিকারিকরা।
ইডি আধিকারিকরা আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় সন্দেশখালি জুড়ে এবং একের পর এক অভিযোগ উঠে আসে শেখ শাহজাহান এবং তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। মহিলাদের ওপর নির্যাতন থেকে শুরু করে ভেরি দখল জমি দখলের মতন একাধিক অভিযোগ ছিল শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে।
শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে আক্রান্ত হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে কয়েক শো মানুষ জড়ো হয়ে তদন্তকারীদের উপর চড়াও হয়। এর মাঝেই তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, গণধর্ষণ, চাযের জমি দখল করে ভেড়ি বানানোর মতো অভিযোগ উঠেছে। অথচ প্রায় দুমাস ধরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। শাহজাহানকে গ্রেপ্তারিতে এত অনীহা কেন, বার বার প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। শেষপর্যন্ত গ্রেপ্তারিতে দেরি নিয়ে আদালতকেই ‘কাঠগড়া’য় তুললেন দক্ষিণবঙ্গের এডিজি সুপ্রতিম সরকার।
সন্দেশখালি বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান গ্রেপ্তার হওয়ার পরেই ন্যাজাট এলাকায় প্রায় একাধিক জায়গায় আগামী তেসরা মাঠ পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
শেখ শাহাজান গ্রেপ্তার হওয়ার পরেই তার বাড়ি সন্দেশ খালি এক দুই পান গ্রাম পঞ্চায়েত তার পাড়ায় এলাকা সহ প্রায় মজার থানা এলাকায় সমস্ত জায়গায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা এবং প্রচুর পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বিভিন্ন এলাকায়।