The name of Sheikh Shahjahan Fan Club has been deleted. The field is currently unoccupied
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক : সন্দেশখালি বিডিও অফিস থেকে সোজা এগিয়ে গেলে ঋষি অরবিন্দ মিশন পাড়া। রাস্তার পাশের বড় মাঠটি একসময় ঋষি অরবিন্দ ময়দান নামে পরিচিত ছিল।এমনটাই জানান ওখানকার স্থানীয়রা। কিন্তু শেখ শাহজাহানের গুন্ডাবাহিনীদের দখলে চলে যায় এই মাঠ। বর্তমানে মাঠের গায়ে পাঁচিলে নাম লেখা থাকত ‘শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাব’।
বিঘার পর বিঘা জমি দখল করে সেখানে ভেড়ি তৈরি করা, পোল্ট্রিফার্ম তৈরি করাই ছিল শেখ শাহজাহান ও তাঁর বাহনীর কাজ। মানুষকে ঠকিয়ে এইভাবে জমি দখলদারি করত শাহাজাহানের লোকেরা। প্রতিবাদ করলে মার পড়ত। এমনকি বাড়ির বউ মেয়েদের তুলে নিয়ে যাওয়া হতো। খেলার মাঠও বাদ দেয়নি শাহজাহান বাহিনীর সদস্যরা। সন্দেশখালির বাসিন্দাদের দাবি, ঋষি অরবিন্দ ময়দানে জমিতেই এক সময় কলেজ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হয়নি। এই মাঠেই পাড়ার, ছেলেরা খেলত। গোরু-ছাগলও চরত। বছর তিনেক আগে আচমকা শাহজাহানের অন্যতম সাগরেদ শিবু হাজরা ও তাঁর দলবল বললো স্টেডিয়াম হবে। কিন্তু হলো শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্ট। উদ্বোধনে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও বিধায়ক নির্মল ঘোষ এসেছিলেন। এতদিন ওই মাঠ ওদের দখলে ছিল।ওই মাঠে স্থানীয়দের ঢোকা বারণ ছিল। ঢুকলেই দিতে হতো জরিমানা। দিতে হত ৩০০-৪০০ টাকা জরিমানা।
ঋষি অরবিন্দ ময়দান দখলদারি শেখ শাহজাহানের এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকালে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার কলকাতায় ফিরে আসার পরই কাজ শুরু করেন পুলিশ আধিকারিকরা। সাধারণ মানুষকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাদের মাঠ। পাঁচিলে লেখআ ‘শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাব’ নাম চুনকাম করে ঢাকা দেওয়া হয়। নতুন করে মাঠে বসানো হয় গাছ। শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ফুটবল ও জার্সি। মাঠ ফেরত পেয়ে বেশ খুশি স্থানীয়রা।