December 12, 2024 3:37 am

২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

December 12, 2024 3:37 am

২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Saraswati Puja বসন্ত পঞ্চমীর সরস্বতী পুজোর পুষ্পাঞ্জলির আগের কুল খেতে নেই কেন ?

Facebook
Twitter
LinkedIn
Pinterest
Pocket
WhatsApp

লেখক: সুবল সরদার

Student life means there will always be a sweet story of Saraswati Puja. The last puja of the puja stage is Saraswati Puja. She is the goddess of wisdom and knowledge.

রাজ্য

দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:

ছাত্র জীবন মানে সরস্বতী পুজোর একটা মিষ্টি গল্প থাকবেই। পুজো পর্যায়ের শেষ পুজো সরস্বতী পুজো। জ্ঞান ,বিদ্যার দেবী তিনি। বিদেশে দেবী এথেনার সঙ্গে তুলনা করা হয় । ওইদিন ছাত্র ছাত্রীদের কাছে একটা বিশেষ দিন। আনন্দের দিন হয়ে ওঠে । একঘেয়েমি পড়াশুনার মধ্যে একটা ছোট বিরতি পর্ব বলা যায়। তারা মুক্তি আর আনন্দের ডানা মেলে । অনেকে ওই দিনকে প্রেম দিবস বলে থাকে। এমন অসম্প্রদায়িক পুজো আর একটাও পাওয়া যাবে না এই ভূ-ভারতে।
সরস্বতী পুজোর সঙ্গে কুলের সর্ম্পক ওতপ্রোত ভাবে জড়িত আছে । ছাত্রদের সরস্বতী পুজোর আগে কুল খাওয়া নাকি নিষেধ। কিন্তু সরস্বতী পুজোর আগে দেখা যায় কুল গাছে একটাও কুল নেই । পুজোর আগে কুল গাছের সব কুল সাবাড় হয়ে যায়। বিদ্যা দেবীর কাছে প্রার্থনা করে বলে – মা কালীর দিব্যি সে কুল খায় নি। দেবী সরস্বতীর ভয়ে আর জিভে জলের মাঝখানে পড়ে ছাত্রদের কী বিড়ম্বনা। ছাত্রদের দোষ কী ? যত দোষ কুলের। ওই সময় পাকে কেন? সরস্বতী দেবী কেন বা আসে অসময়ে? কুল পাকবে, ছাত্ররা খাবে না তা কী কোনদিন হয়? সরস্বতী পুজো তাই খুব সুন্দর রঙ বাহারী পুজো। চোর পুলিশ খেলার মজা আছে। যদিও দেবী সরস্বতী সবাইকে ক্ষমা করে দেন। পরীক্ষায় ছাত্রছাত্রীরা সবাই উতরে যায়। মনে হয় বনের ভিতর দিয়ে,ঝরা পাতার মধ্যে দিয়ে তিনি হেঁটে আসেন মর্মর ধ্বনি সঙ্গে । তিনি ছাত্রদের ভয় মুক্ত করতে সিদ্ধ হস্ত। অভয় মন্ত্র দান করেন বিদ্যা দিয়ে। তিনি যে জগৎ জননী,বিদ্যার দেবী।
সরস্বতী পুজো এলেই আমরা অতীত খুঁজে পাই। একরাশ স্মৃতিমাখা ভালবাসার গল্প। বাঁশ- কঞ্জি সঙ্গে মায়ের শাড়ি দিয়ে প্যান্ডেল তৈরি করা । পুজোর বাজার করা। পুরোহিতের ব্যবস্থা করা ঠিক যেন দক্ষ যজ্ঞ হচ্ছে। দারুণ উন্মাদনা কাজ করে। দল বেঁধে চাঁদা তোলার হিড়িক থাকতো । কেউ সরস্বতী বানান ধরতো,ঠিক বললেই সহজে চাঁদা পাওয়া যেত। সমীরের কথা খুব মনে পড়ে ‌। তাকে আমরা খাঁদা বলে ডাকতাম। চাঁদা তোলার সময় তাকে কেউ সরস্বতী বানান করতে বলল ,সে ছুটে আসে আমার কাছে বানান জানার জন্যে। সে কথা কখনো ভোলা যায় না। সে আজ আমাদের মধ্যে নেই।
সরস্বতীর পুজোর দিনে নির্ধারিত সময়ে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার হুড়োহুড়ি পড়ত । বেশ কয়েক দিন আনন্দের মধ্যে কেটে যেত । বিসর্জনে শুধু চোখের জলে ভরে । মনটা কেমন ভারাক্রান্ত হয়ে উঠে।


সরস্বতী পুজোর পর যখন বইয়ের পাতা উল্টাই শুকনো ঝরা গাঁদা ফুলের পাপড়ি দেখতে পাই। কী মিষ্টি গন্ধ! মা আমার বই খাতা নিয়ে কখন দেবীর পায়ের কাছে রেখে আসতেন আমি জানতে পারি না। এমন মিষ্টি গন্ধ ,মায়ের স্পর্শ আমার মনকে খুব নাড়া দেয়। সরস্বতী পুজো এলেই খুব করে মা, ঝরা গাঁদা ফুলের পাপড়ি -কেমন এলোমেলো করে দেয় বর্তমান থেকে অতীতের দিকে। সরস্বতী পুজো ছাত্র ছাত্রীদের কাছে আনন্দের দিন, ভালোবাসার পুজো আর আমার কাছে মিষ্টি মধুর স্মৃতির পাতা।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Pinterest
Pocket
WhatsApp

Related News

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top