Chief Minister Mamata opened her mouth about Sandeshkhali incident
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক : একমাসেরও বেশি সময় ধরে উত্তপ্ত সন্দেশখালি। গত ৫ জানুয়ারি থেকে সন্দেশখালিতে অশান্তি হয়, দফায় দফায় চলে গন্ডগোল। সেভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এতোদিন পর মুখ খুললেন তিনি। আরামবাগের প্রশাসনিক কর্মসূচিতে যাওয়ার আগে হাওড়ার ডুমুরজলা হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে রাজ্য সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। রাজ্য মহিলা কমিশনকেও সন্দেশকালিতে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি এদিন রাজ্যপালের সন্দেশখালি যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করলে মুখ্যমন্ত্রী।রাজ্যপালের সন্দেশখালি যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করলে মুখ্যমন্ত্রী। কেরল সফর কাটছাঁট করে সোমবার সন্দেশখালি গিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর সফর নিয়েও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বললেন, ‘যে কেউ যেতেই পারে। গত ৫ জানুয়ারি ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল সন্দেশখালিতে। সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। তাঁর বাড়িতেই তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনার পর থেকে পলাতক শাহজাহান। তার কিছুদিন পর থেকে উত্তপ্ত হয় সন্দেশখালি। দফায় দফায় সেখানে অশান্তি, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। অশান্তির ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের মধ্যে একজন হল তৃণমূলের উত্তম সর্দার। সন্দেশখালিকাণ্ডে নাম জড়ানোর পরেই উত্তমকে সাসপেন্ড করে শাসকদল। এ ছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহ ও সন্দেশখালির প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, যাঁরা আসল দোষী, তাঁদের গ্রেফতার করছে না। সেই আবহে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। সিপএম দলের প্রাক্তন বিধায়কের গ্রেফতারির প্রতিবাদে সোমবার সন্দেশখালির দু’টি ব্লকে ১২ ঘণ্টা বন্ধেরও ডাক দেয়।