State Congress President and Leader of Opposition in Lok Sabha Adhir Ranjan Chowdhury Faced with Police Blockade in Sandeshkhali
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
সন্দেশখালির মর্মান্তিক ভয়ংকর নির্যাতনের শিকার সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলার জন্য উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি লোকসভার বিরোধী দলনেতা সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
শুক্রবার বিজেপির ফ্যাট ফাইন্ডিং কমিটিকে আটকে দিয়েছে পুলিশ। সন্দেশখালি তে সকল রাজনৈতিক দল একে একে ঘুরে আসছে। বাকি ছিল একমাত্র কংগ্রেস। শুক্রবার নিউটাউন বিশ্ব বাংলা গেটের সামনে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী কংগ্রেস নেতা আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় এছাড়াও কংগ্রেস কর্মীরা জমায়েত করেন। সেখান থেকেই সন্দেশখালীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
তবে সন্দেশখালি যাওয়ার আগে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানালেন”কিছু বলার নাই অরাজকতা চলছে, নৈরাজ্য চলছে বাংলায়। এখানে মহিলাদের কোন সম্মান নেই।এই বাংলায় নৈরাজ্য চলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। তবে সন্দেশখালিতে পৌঁছানোর আগেই তার মন্তব্য গোলাবারুদ নিয়ে তো যাচ্ছি না একটা রাজনৈতিক দলের যা করণীয় সেটাই করব।
কলকাতা থেকে সন্দেশখালি উদ্দেশ্য থাকলেও মাঝপথেই পুলিশি ব্যারিকেডের মধ্যেই আটকে গেলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। পুলিশের সাথে বছসা কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের।
একমাস পেরিয়ে গেলেও এখনো শান্ত হয়নি উত্তর চব্বিশ পরগনার সন্দেশখালি। সন্দেশখালীর মাটি দখলে নেমে পড়েছে এর রাজ্যের একের পর এক রাজনৈতিক দলগুলি। সামনেই লোকসভা নির্বাচন কার দখলে থাকবে সন্দেশখালি! তা নিয়েই চাপানউতর বঙ্গ রাজনীতিতে। ১৪৪ দ্বারা টপকে সন্দেশখালীর ভেতরে যেতে চায় সিপিআইএম বিজেপি এবং সর্বোপরি কংগ্রেস।
চলতি সপ্তাহ শুরুতেই সিপিআইএমের যুব সংগঠন এর রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় গিয়েছিলেন সন্দেশখালিতে কিন্তু মাঝপথেই তাকে আটকে দেওয়া হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস গিয়েছিলেন সন্দেশখালি নিপীড়িত মানুষের সাথে কথা বলতে। তাকেও আটকে যেতে হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের রোষের মুখে। সরস্বতী পূজার দিন সন্দেশখালি পৌঁছে যেতে চেয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তিনিও পৌঁছে যেতে চেয়েছিলেন সন্দেশখালীর মানুষের কাছে তাদের বক্তব্য তাদের অভাব তাদের অভিযোগ শোনার জন্য। কিন্তু বাধার মুখে ফিরে কলকাতাতেই ফিরে আসতে হয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দলনে তাকে।