Sandeshkhali incident uproar State Assembly! Principal Biman Banerjee suspended six MLAs including Shuvendu Adhikari.
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
“সন্দেশখালি ইস্যুতে উত্তপ্ত রাজ্য বিধানসভা”
সন্দেশখালি নিয়ে গত শনিবার চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভা থেকেই সোজা সন্দেশখালি যাবেন তাই আগে থেকেই প্রস্তুত হয়ে এসেছিলেন বিজেপির সমস্ত বিধায়করা। সাদা গেঞ্জির ওপরে গেরুয়া রং এর লেখা সন্দেশখালি। জানিয়ে তীব্র খুব প্রকাশ করেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সাসপেন্ড হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী সহ ৬ জন বিধায়ক। স্পিকার সাসপেন্ড করেছেন শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পাল, শঙ্কর ঘোষ, মিহির গোস্বামী, বঙ্কিম ঘোষ এবং তাপসী মণ্ডলকে। চলতি অধিবেশনের শেষ দিন পর্যন্ত তাঁরা সাসপেন্ড।
বিধানসভায় সন্দেশখালি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতির দাবি বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারীর।”সন্দেশখালি সঙ্গে আছি’ লেখা গেঞ্জি পড়ে ভারতীয় জনতা পার্টির বিধায়করা”অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে বলেন সোম থেকে শুক্রবারে প্রশ্নোত্তর ছিল.। কিন্তু মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ব্যস্ত থাকলেও কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছেনা কেন? স্বরাষ্ট্র দপ্তর একটা গুরুত্বপূর্ণ, সন্দেশখালি গুরুত্বপূর্ণ,আমরা বঞ্চিত হচ্ছি, আমরা প্রশ্ন করছি উত্তর পাচ্ছিনা!
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য টেনে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন আপনারা এই গেঞ্জিটা খুলে ফেলুন। এটা বাঞ্ছনীয় নয়। বিরোধীদল নেতা অধ্যক্ষের প্রশ্নের উত্তরেএটা খারাপ কোথায়?অধ্যক্ষ বলেন বিএ কমিটির মিটিংয়ে আপনারা আসেন না।
‘সন্দেশখালি জ্বলছে’ শুভেন্দু নেতৃত্বে স্লোগান অধিবেশন কক্ষের অভ্যন্তরে
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এই সাসপেনশনের বিষয়ে জানান, ”আমরা গর্বিত। সন্দেশখালির মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আমরা লড়াই করছি। তার জন্য যদি সাসপেন্ড হতে হয়, হব।” আসলে সোমবার বিজেপি বিধায়করা ‘সন্দেশখালি সঙ্গে আছি’ লেখা পোশাক পরে বিধানসভায় আসেন। বিজেপি বিধায়কদের পোশাক দেখে তা খুলতে বলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন পোশাক বিধানসভায় বাঞ্ছনীয় নয় বলে মত তাঁর। কিন্তু তাঁর নির্দেশ অমান্য করেন তাঁরা। উল্টে কাগজ ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানান। এরপরই ৬ জন বিজেপি বিধায়ক সাসপেন্ড হন। অধিবেশন কক্ষে অসংসদীয় আচরণ করার জন্য ৩৪৮ ধারাতে সাসপেন্ড।
শীতকালীন অধিবেশনে সাসপেন্ড হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভার অধ্যক্ষের প্রতি অসম্মানজনক আচরণের অভিযোগে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। সেই সময়ে তৃণমূল বিধায়কদের বিরুদ্ধে চোর চোর স্লোগান তুলেছিলেন বিজেপি বিধায়করা।
সন্দেশখালি এখন আর সন্দেশ খালিতে নেই, আন্দোলনের স্রোত বইছে রাজ্য জুড়ে। উত্তপ্ত সন্দেশখালি সূত্রপাত রেশন দুর্নীতির মামলায় ইডি আধিকারিকদের মারধরের ঘটনায় যোগ রয়েছে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে। এক মাসেরও বেশি সময় হয়ে গিয়েছে বেপাত্তা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মত্স্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষের শেখ শাহজাহান। হন্যে হয়ে চলছে তার খোঁজ। আর এরই মধ্যেই একের পর এক মারাত্মক সব অভিযোগ উঠে আসছে শাহজাহানের বিরুদ্ধে।
উত্তপ্ত সন্দেশখালিতে এখন শুধু রেশন দুর্নীতি নয়, এবার তৃণমূল পার্টি অফিসের ভিতরেই ধর্ষণের মতো মারাত্মক অভিযোগ উঠল শাহজাহানের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ সামনে আসার পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় রাজ্যের ডিজিপি রাজীব কুমারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। বেঁধে দেওয়া হয়েছে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।