A case was filed in the High Court following the incident in Sandeshkhali where the fact finding committee headed by the former judge was barred from entering the Patna High Court and the former judge was detained. Advocate Tarunjyoti Tiwari in the court of Justice Kaushik Chander. Hearing of the case at three in the afternoon today
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:সন্দেশখালিতে পাটনা হাইকোর্টে প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বে যে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় এবং প্রাক্তন বিচারপতিকে আটক করা হয় সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে মামলা দায়ের। বিচারপতি কৌশিক চন্দর এজলাসে মামলা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারির। আজ দুপুর তিনটে মামলার শুনানিএ। একই ইজ লাশে বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারীর জালিয়াখালি যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদনের মামলা রয়েছে দুপুর তিনটে। দুটো আবেদনেরই একসঙ্গে শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগেই প্রতি পদে পদে বিরোধী থেকে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যদের সন্দেশখালিতে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস থেকে শুরু করে এরাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী, সিপিআইএম নেত্রী বিন্দা কারাট থেকে ডি ওয়াই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, প্রত্যেকেই পুলিশি বাধার মুখে পড়েছেন। অথচ অনায়াসেই সন্দেশখালি তে ঢুকে পড়ছেন শাসকদলের মন্ত্রীরা।
উত্তপ্ত অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালিতে রাজ্যের শাসকদলের দুই মন্ত্রী সুজিত বসু এবং পার্থ ভৌমিক শনিবারের পর রবিবারও সন্দেশখালিতে গিয়ে সেখানকার মানুষের সাথে কথাবার্তা বলছেন। তাদের কেন পুলিশ বাধা দিচ্ছেনা প্রশ্ন তুলেছিলেন ফ্যাট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা। এমনকি লুকানো রয়েছে সন্দেশখালিতে? যেখানে অন্য কোন ব্যক্তিকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না? এ প্রশ্ন তারা আজ তুলেছেন।
শনিবার দিল্লি থেকে ৬ সদস্যে প্রতিনিধি দল কলকাতায় এসে পৌঁছায়। কমিটিতে রয়েছেন বিচারপতি নারসিমা রেড্ডি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের যুগ্ম রেজিস্ট্রার রাজপাল সিং, ওপি ব্যাস, জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের কনসালট্যান্ট ভাবনা বাজাজ এবং বর্ষীয়ান সাংবাদিক সঞ্জীব নায়ক। ধর্মতলার একটি হোটেলে ছিলেন তাঁরা। প্রতিনিধি দলের দাবি, পুলিশের তরফে রবিবার সকালে তাঁদের একটি চিঠি দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকায় এখনও ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই আইন মোতাবেক তাঁদের গ্রামে ঢুকতে দেওয়া সম্ভব নয়। চিঠি হাতে পাওয়ার পর ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা স্পষ্ট জানান, তাঁরা গ্রামে যাবেন। যে এলাকাগুলিতে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে সেখানে তাঁরা দল বেঁধে যাবেন না। তাঁদের মধ্যে শুধুমাত্র ২ জন ওই গ্রামে ঢুকবেন।
স্যাট ফাইন্ডিং কমিটি কলকাতা থেকে রওনা দেওয়ার পর দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা ভোজেরহাট পৌঁছানোর পরেই পুলিশ সাথে আটকে দেয় বলে অভিযোগ। সন্দেশখালিতে কোনভাবেই তারা প্রবেশ করতে পারবেন না বলে জানায় পুলিশ আধিকারিকরা। এরপরে এই ঘটনাস্থলে তারা বসে পড়ে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। পুলিশ তাদের একাধিকবার এলাকা ফাঁকা করে দেওয়ার আহবান জানান। কিন্তু কমিটির সদস্যরা নাছোড়বন্দা, তারা সন্দেশখালিতে যাবেন। এরপরেই পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি বেধে যায়, ফ্যাট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যদের। অবশেষে পুলিশ টেনে হিচড়ে তাদের প্রিজন ম্যানে তুলে নেয়।
শনিবার সকালে পুলিশের নজর এড়িয়ে সন্দেশখালিতে পৌঁছান ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। সন্দেশখালি কাণ্ডে ধৃত সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর বেরিয়ে এলাকা পরিদর্শনের সময় মাঝেরপাড়ায় মীনাক্ষীকে বাধা দেয় পুলিশ। মহিলা আধিকারিকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। মিনাক্ষী একা গ্রামে যেতে চেয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও তাঁকে যেতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর।
এদিন গ্রামের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সন্দেশখালিতে যান রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং সুজিত বসু। পুলিশি মীনাক্ষীকে না ঢুকতি দিলে তিনি বলেন, আমাকে বাধা দেওয়া হচ্ছে কেন, পার্থ, সুজিতরা কিভাবে সন্দেশখালিতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ওঁরা মানুষকে ভয় দেখাতে এসেছেন। যখন জমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছিল, তখন ওঁরা কোথায় ছিলেন