Do you follow these rules after wearing Rudraksha! Otherwise there are many dangers to be faced
রুদ্রাক্ষ হল সংস্কৃত যৌগিক শব্দ যা রুদ্র ও অক্ষ নিয়ে গঠিত। রুদ্র হল শিবের বৈদিক নামগুলির মধ্যে একটি এবং অক্ষ মানে চোখ। রুদ্রাক্ষকে “রুদ্রের চোখ” হিসেবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। আর শাস্ত্র মতে, এই রুদ্রাক্ষ গাছের ফল সবচেয়ে পবিত্র জিনিস। এই রুদ্রাক্ষ আমরা অনেকেই ধারণ করে থাকি। রুদ্রাক্ষ ধারণ করার ফলে ব্যক্তির মধ্যে আধ্যাত্মিকতা জাগৃত হয়। এই রুদ্রাক্ষ ব্যক্তির মন শান্ত রাখে। জীবনে সঠিক পথে পা বাড়াতে পারেন এবং সঠিক নির্ণয় নেওয়াও সহজ হয়। রুদ্রাক্ষ ধারণের রয়েছে যেমন একাধিক লাভ, তেমনই যে ব্যক্তি এটি ধারণ করে তাঁদের পালন করতে হয় একাধিক নিয়ম। এই সমস্ত নিয়ম না মেনে চললে শুধু সেই ব্যক্তিই নয়, তাঁর সম্পর্কযুক্ত ব্যক্তিরাও শিবের রোষের শিকার হতে পারেন।একনজরে দেখে নেওয়া যাক রুদ্রাক্ষ ধারন করলে মানতে হবে কি কি নিয়মঃ১) কোনও স্ত্রী রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে সন্তান প্রসব করার পর, অশৌচ পর্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত রুদ্রাক্ষ ধারণ করা উচিত নয়। মনে করা হয় এই অশৌচ কালে স্ত্রী অপবিত্র থাকে। তাই এ সময় রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে তা-ও অপবিত্র হতে পারে। ২) রুদ্রাক্ষ ধারণ করে প্রসূতি ও নবজাতকের কক্ষে প্রবেশ করা উচিৎ না। সেই সময় রুদ্রাক্ষ খুলে রেখে যাওয়া উচিত।৩) রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে আমিষ খাবার ও ধূমপান থেকে দূরে থাকা উচিত। এতে রুদ্রাক্ষটি অপবিত্র হয়ে যায় এবং ধেয়ে আসে একাধিক সমস্যা। ৪) ঘুমানোর সময় রুদ্রাক্ষ খুলে রেখে দেওয়া উচিৎ। তবে, যাঁরা দুঃস্বপ্ন দেখে বিচলিত হয়ে যান, তাঁরা বালিশের তলায় রুদ্রাক্ষ রেখে দিন। আবার যাঁদের ঘুমাতে অসুবিধা হয় তাঁরাও বালিশের তলয়ায় রাখতে পারেন।৫) কারও অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে গেলে রুদ্রাক্ষ খুলে রেখে যাবেন। কারণ এটি পরে অন্ত্যেষ্টিতে গেলে রুদ্রাক্ষ অশুদ্ধ হয়ে যায়। ব্যক্তির জীবনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।৬) কখনও কোনও ব্যক্তির ব্যবহার করা রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে নেই। এমনকি নিজের রুদ্রাক্ষও কাউকে দেবেন না। এছাড়াও নোংরা হাত দিয়ে রুদ্রাক্ষ স্পর্শ করবেন না। এমনকি শৌচ করতে যাওয়ার সময়ও রুদ্রাক্ষ খুলে রাখা উচিত। এর ফলে রুদ্রাক্ষের শুদ্ধতা বজায় থাকে।