The commission ordered Rajeev to be removed from the post of DG of State Police
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্য পুলিশের ডিজি পদ থেকে রাজীব কুমারকে সরানোর নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। গত বছর ডিসেম্বর মাসে রাজ্য পুলিশের ডিজি পদে নিয়োগ করা হয় রাজীবকে। রাজীব মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ট বলেই পরিচিত। ২০১৯’র ৩ ফেব্রুয়ারি সিবিআই’র তল্লাশির সময়েই রাস্তায় ধর্না দিতে বসে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সেদিনই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা বিকেলে হানা দেয় রাজীব কুমারের বাসভবনে।সুপ্রিম কোর্টে স্থগিতাদেশ খারিজ হলেও রাজীব কুমারকে গ্রেপ্তার করেনি সিবিআই। ২০১৯’র ১৭ মে সুপ্রিম কোর্ট গ্রেপ্তারিতে স্থগিতাদেশ তুলে নেয়। ৫ ফেব্রুয়ারি স্থগিতাদেশকে ‘নৈতিক জয়’ বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সুপ্রিম কোর্টে হলফনামায় রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে কড়া অভিযোগ জানিয়েছিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার অভিযোগ ছিল, রাজীব কুমার ২০১২’র জানুয়ারি থেকে ২০১৫’র ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার ছিলেন। তাঁর এলাকার মধ্যে ছিল সারদা ও রোজভ্যালি দুই বৃহৎ চিট ফান্ড কোম্পানির সদর দপ্তর। তিনি কমিশনার থাকাকালীনই এই দুই সংস্থা বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার বিভিন্ন প্রকল্পে বাজার থেকে সর্বাধিক পরিমাণ টাকা তোলা হয়েছিল। সারদা কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ছিলেন আইপিএস আধিকারিক রাজীব কুমার। রাজ্যের তথ্য প্রযুক্তি দপ্তরের সচিবও হন মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ এই আধিকারিক। এক সময়ে এই আইপিএস আধিকারিকের গ্রেপ্তারিতে বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টও। সিবিআই হলফনামায় শীর্ষ আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছিল এই আধিকারিকের বিরুদ্ধে। তবে বাংলায় শুধু রাজীব কুমারকে নয়, তাঁকে ছাড়াও গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের স্বরাষ্ট্রসচিবকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।