Super Cup derby match at Kalinga Stadium on Friday.
দেশ
দ্যা হোয়াইট বাংলা স্পোর্টস ডেস্ক : শুক্রবার কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে সুপার কাপের ডার্বি ম্যাচ। মাস্ট উইন ম্যাচ মোহনবাগানের। জয় ছাড়া কোনও উপায়ই নেই সবুজ মেরুনের। এই প্রথমবার কোচের হটসিটে বসবেন ক্লিফোর্ড মিরান্ডা। হাবাস চলে এলেও তার ওপরই ভরসা রাখছে সবুজ মেরুন কোচ। কিন্তু গোয়ানিজ ক্লিফোর্ড কি বুঝতে পারছেন বাঙালির ডার্বির আবেগটা। ফুটবলারদের চাপহীন রাখতে তিনি বলছেন, শুক্রবারের ম্যাচটাও অন্যান্য ম্যাচেরই মতো। ডার্বির থেকেও তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের পয়েন্ট। কারণ সবুজ মেরুনকে পরের রাউন্ডে যেতে গেলে এই ম্যাচ জিততেই হবে তাদের। ভালো কথা। কিন্তু ডার্বি এমন একটা খেলা যেখানে ফুটবলাররা ভাঙাচোড়া দল নিয়েও নিজেদের জীবন দিয়ে ফুটবল উপহার দেন। মরিয়া হয়ে ঝাপান। এমনিতেই এই মোহনবাগানে বাঙালি ফুটবলার নেই বললেই চলে, যারা বড় ম্যাচের আবেগ বা গুরুত্ব বুঝবেন। ফলে ডার্বিকে আরেকটা ম্যাচ হিসেবে দেখাতে গিয়ে বিদেশীরাও কোথাও ফোকাস হারাবেন না তো। প্রশ্ন কিন্তু থাকছেই। কারণ এই ম্যাচে কোনও অতিবড় মোহনবাগান সমর্থকও বলবে না তারা এগিয়ে আছে। তার আগে যখন দরকার ফুটবলারদের ভোকাল টনিক, সেখানে বাগানের স্টপ গ্যাপ কোচের কথায় একটু ভয় ধরিয়ে দিচ্ছে। ছন্নছাড়া ডিফেন্সের ফাকফোকর ঢাকতে ইস্টবেঙ্গলের বিপক্ষে ডিফেন্সে জোড়া বিদেশী খেলাতে পারেন বাগান কোচ। বাগানের সাধের লাইন আপের ৭ জন আছেন জাতীয় শিবিরে, বাকি দুই তারকা চোটের জন্য বাইরে। এই অবস্থায় সবুজ মেরুনের ভরসা সেই অস্ট্রেলিয়ান দিমিত্রি পেত্রাতোসই। যিনি এখনও পর্যন্ত বাগানকে কোনও ম্যাচেই নিরাশ করেননি। সেটা ডুরান্ড ফাইনালের ডার্বি হোক বা আইএসএফ ফাইনাল। বুমোস, কামিন্সদের গা ছাড়া মনোভাবের মধ্যে এই অস্ট্রেলিয়ানই পারে বাগানকে সম্মানরক্ষার ম্যাচে পয়েন্ট এনে দিতে। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই হয়ত মিস করছেন সবুজ তোতা হোসে র্যামিরেস ব্যারেটোকে। যিনি কোচ ফুটবলারদের অনুপস্থিতিতে বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে নিতেন নিজের কাঁধে। ডার্বির রং একার কাঁধেই সবুজ মেরুন করে দিতেন। কিন্তু সেই বাগানও আর নেই, বাগানের সেই সবুজ তোতাও আর নেই। এযাবতকালে ডার্বির আগে এত সমস্যায় হয়ত আর মোহনবাগান এর আগে পড়েনি। অবশ্য হাবাস চাইলে শেষ মূহূর্তে তার পেপ টকে অনেক কিছুই বদলে দিতে পারেন। তার আগ্রাসি ফুটবলের টোটকাও অক্সিজেন দিতে পারে।আপাতত কলিঙ্গ যুদ্ধে তাই হাবাস – পেত্রাতোসের ভরসায় ডার্বি জয়ের স্বপ্ন দেখছেন সবুজ মেরুন সমর্থকরা।