Mohan Bagan’s revenge match in Saturday’s derby
দ্যা হোয়াইট বাংলা স্পোর্টস ডেস্ক : শনিবার আইএসএলে ডার্বি। বদলার ম্যাচ মোহনবাগানের। সুপার কাপে হারের বদলা নেওয়ার সুযোগ সবুজ মেরুন শিবিরের কাছে। হাবাসের হাতে থাকছে সব বিদেশী। যদিও ভরসা বলতে ভারতীয় ব্রিগেডই। ম্যাচের আগের দিন সকালে যুবভারতীতে শেষ অনুশীলন সেড়ে নিলেন হাবাস। ক্লোজ ডোর অনুশীলনে নিজের ছক সব লুকিয়েই রাখলেন স্প্যানিশ কোচ। প্রতিপক্ষ দলে চার বিদেশী রয়েছে। সুবিধা পাওয়ার কথা থাকলেও, অস্ট্রেলিয়ান কামিন্স বা আলবানিয়ার সাদিকুর পারফরমেন্সে বরং কপালে ভাঁজই পড়েছে হাবাসের। বুমোসেরও অ্যাসিড টেস্ট এই ম্যাচে। কারণ তার খেলায় বিরক্ত ক্লাব ম্যানেজমেন্ট। গত তিনটি ডার্বির একটিতেও বুমোসের থেকে তেমন ভালো কিছু পারফরমেন্স দেখা যায়নি। যা করেছে ঐ দিমিত্রিই করেছেন। ফলে ডার্বিতে নিজের জাত চেনাতে চাইবেন বুমোসও। ডার্বি ম্যাচের মাহাত্ম তিনি এতদিনে বুঝে গেছেন। খারাপ পারফরমেন্স হলে কোপ পড়তে পারে অন্য বিদেশীদের ওপরেও। কাউকো কলকাতায় চলে আসায় সাদিকু, কামিন্সের ওপরেও চাপ পড়েছে।
সুপার কাপে হারের পর নিজেদের সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটে বাগান ফুটবলাররা সমর্থকদের কাছেই ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন। ফলে এই ম্যাচ যে তাদের কাছে ব্যক্তিগতভাবে জবাব দেওয়ার ম্যাচ, তা বলাই যায়। সাহাল থেকে শুভাশিস বোস, সকলেই যোগ দিয়েছেন দলের সঙ্গে। ভাঙা হাট হতে বসা বাগান, কিছুটা সংঘবদ্ধ হয়েছে আবার। সঙ্গে হাবাসের স্ট্রিক্ট কোচিংয়ে ফুটবলাররাও সংযত হয়েছেন। মাঠের ভিতর কোনওরকম বেপরোয়া ভাব তিনি মেনে নেবেন না, তা সকলেরই জানা। ম্যাচের আগে কোচ বারবার ভিডিও ক্লাসে ফুটবলারদের বুঝিয়ে দিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের আক্রমনটা ঠিক কোন দিক থেকে বেশি হয়। বিশেষত বক্সের বাইরে দশ গজের মধ্যে ক্লেইটনকে একটুও জায়গা দেওয়া যাবে না। কারণ ফিফটি ফিফটি বলও একার করিশমায় গোলে কনভার্ট করে দেন এই ব্রাজিলিয়ান।
নন্দকুমার এবং মহেশের জন্যেও প্ল্যানিং রয়েছে হাবাসের। লালহলুদের উইংয়ের দুই অস্ত্রকে রুখতে বাগানের দুই উইং হাফ এবং ল্যাটেরাল ব্যাককে বাড়তি ওয়ার্ক লোড নিয়ে খেলতে বলছেন হাবাস। কারণ উইং থেকে বাগান যত আক্রমন করবে ততটা অকেজো হবে লালহলুদের আক্রমন। ক্লেইটনদের আক্রমন নির্বিষ করতে তাই উইংপ্লেতেই বেশি জোর দিতে চলেছেন হাবাস। ম্যাচে ফিরছেন অধিনায়ক শুভাশিস বোস। তিনি অধিনায়ক হিসেবে ডার্বির ফল 1-1। কারণ ডুরান্ডে তিনি একটি ডার্বি জিতেছেন এবং একটি হেরেছেন। সুপার কাপে তিনি ছিলেন না। বাঙালি আবেগটা শুভাশিস ভালোই বোঝেন। তাই ম্যাচের আগে দাদার মতো সব ফুটবলারদের উদবুদ্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এই বঙ্গতনয়। নিজের দিনে ম্যাচের রঙ বদলে দিতে পারেন পেত্রাতোস। বোঝেন বাগান সমর্থকদের আবেগও। তাই তার দিকেই তাকিয়ে সমর্থকরা। এখন দেখার মরসুমের চতুর্থ ডার্বিতে সমতা ফেরাতে পারে কিনা মোহনবাগান।