দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক : ঐতিহাসিক ব্রিগেড জনসভায় কবি নজরুলের কবিতা ভুললেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। নেট পাড়ায় জোর চর্চা! বেশ কয়েক মাস ধরে লাগাতার পাহাড় থেকে সমতল পর্যন্ত ইনসাফ যাত্রা নিয়ে প্রচার অভিযান ছাড়ানো হয়েছে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় কে সামনে রেখেই। শীতের রবিবাসরীয় দুপুরে ব্রিগেডের ময়দানে মিরাক্ষী মুখোপাধ্যায় মঞ্চে উঠেই শুরু করলেন”আমি বিদ্রোহী রণক্লান্ত… সেদিন হব শান্ত… অত্যাচারির খড়গ কৃপাণ”ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের সম্পাদিকা মীনাক্ষী সেই ভুলটা করলেন। কিন্তু তাতে অস্বস্তিতে পড়লেন না। পরক্ষণেই ক্লান্ত চেহারার মলিন মুখে স্বীকার করে নিলেন, ‘ভুলে গিয়েছি’। ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন যাত্রা শেষে ঐতিহাসিক ব্রিগেডে ভিড় নেহাত কম হয়নি। বক্তা তালিকায় যারা ছিলেন তাঁরাও নিজেদের ভাষণে মঞ্চ জমিয়ে রেখেছিলেন। তবে নজর ছিল ‘ক্যাপ্টেন’ মীনাক্ষীর দিকেই। আধা বাংলা, আধা হিন্দিতে মীনাক্ষীও খারাপ বলেননি। লড়াইয়ের কথা বলেছেন, নীতির কথা বলেছেন, রুজির কথা বলেছেন, রুটির কথা বলেছেন। এসবের মধ্যেই মারাত্মক ভুলটি করে ফেলেছেন। কবি নজরুলের বিদ্রোহী কবিতা উদ্ধৃত করতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলেছেন। পরক্ষণেই অকাতরে স্বীকারও করেছেন,’ভুলে গিয়েছি।’
ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষীর এই ভুল যে ব্রিগেড সমাবেশের ‘শিরোনাম’ হয়ে যেতে পারে তা বেশ জানতেন বর্ষীয়ান মহম্মদ সেলিম। সম্ভবত সেকারণেই নিজের ভাষণের শুরুতেই মীনাক্ষীর সেই ভুলের সাফাই দিলেন তিনি। সেলিম ভাষণ দিতে উঠে শুরুতেই বললেন,”কমরেড মীনাক্ষী আপনাদের সামনে বক্তৃতা করছিল। উত্তেজনার বশে কাজী নজরুলের ‘বিদ্রোহী’ কবিতা উদ্ধৃত করতে গিয়ে বলল ভুলে গেছি। সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিমের বক্তব্য, “এটাই বামপন্থা আর দক্ষিণপন্থার মধ্যে পার্থক্য। এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলে কখনও বলত ভুলে গেছি? নরেন্দ্র মোদি হলে বলত ভুলে গেছি? কোনওদিন বলত না। ফ্যাসিস্টরা ভুল স্বীকার করে জানে না। মোদি-মমতার মতো স্বৈরাচারীরা ভুল স্বীকার করতে জানে না। বামপন্থীরা পারে। আমরা ভুল স্বীকার করতে পারি। ভুল স্বীকার করতে বামেদের বুক কাঁপে না।