Sandeshkhalikand and Nandigram are not the same! Trying to stop ‘riots’, Chief Minister Mamata’s message
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক : বিরোধীদের মুখে মুখে বার বার শোনা গেছে সন্দেশখালি ও নন্দীগ্রামের মধ্যে কোনও তফাৎ নেই।‘সন্দেশখালি দ্বিতীয় নন্দীগ্রাম’ মন্তব্য করেছেন বাম থেকে ডান। বুধবার সন্দেশখালির নাম উল্লেখ না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, একটি জায়গার সঙ্গে আরেকটি জায়গার নাম জড়িয়ে ‘দাঙ্গা’ বাঁধানোর চেষ্টা চলছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, “সিঙ্গুর হল সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম হল নন্দীগ্রাম, এক একটা জায়গা আলাদা আলাদা, একটার সঙ্গে আর একটার তুলনা করে দাঙ্গা বাঁধিয়ে দিয়ে ভুল করবেন না। কোথাও রক্ত ঝরুক আমি চাই না। তেমনি কোনও ভুলকেও প্রশ্রয় দিই না,বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, জমি, ভেড়ি দখল, নারী নির্যাতন এই সব অভিযোগকে কেন্দ্র করে অশান্ত সন্দেশখালি। গ্রামবাসীদের দাবি, শেখ শাহজাহানকে ইচ্ছাকৃতভাবে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। গ্রামের মহিলারা রাস্তায় নেমে ঝাঁটা, লাঠি হাতে আন্দোলন করছেন। কখনও পুলিশের গাড়ির সামনে শুয়ে আন্দোলন করছেন। পুলিশের গতিবিধি রুখতে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি, ডালপালা ফেলে দেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ প্রকৃতিই দেখে অনেকেই বলছেন, এই আন্দোলন নন্দীগ্রাম আন্দোলনের স্মৃতিকে চাঙ্গা করে দিচ্ছে।
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, বিরোধীরা ইচ্ছাকৃত ভাবে সন্দেশখালির ঝামেলাকে জিইয়ে রাখতে চাইছে। তার পিছনে হাত আছে বিজেপি দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। পুরোটাই গেরুয়া শিবিরের ষড়যন্ত্র। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে,, নন্দীগ্রাম ও সন্দেশখালির এক নয়। নন্দীগ্রামে চাষের জমি সরকার জোর করে অধিগ্রহণ করতে চেয়েছিল। কিন্তু সন্দেশখালিতে গ্রামবাসীদের অবিযোগ শাসক দলের স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে। সন্দেশখালির সঙ্গে নন্দীগ্রামের তুলনা করাটা মোটেও বাঞ্চনীয় নয়।