Bangla is not a beggar”! Mamata’s new announcement ahead of Lok Sabha polls
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: ১০ মার্চ তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ। লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এই সমাবেশকে পুরো দমে হিট করতে চাইছে তৃণমূল সরকার। দলনেত্রী মমতা ব্রিগে়ডের আগেই দামামা বাজিয়ে দিয়েছেন। কেন্দ্র সরকারের তুলোধোনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র টাকা দিতে পারলে ভাল, না হলে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা রাজ্যে মেটাবে। পুরুলিয়ার প্রশাসনিক সভার মঞ্চে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীকে বলে, ‘‘বাংলা ভিখারি নয়,বাংলা হকের টাকা চায়”। প্রাপ্য টাকা আদায়ের জন্য কেন্দ্রের কাছে অনুনয় করেছে, আন্দোলন করেছে তৃণমূল। তাতে লাভের লাভ হয়নি। তাই কেন্দ্রের দয়ায় আর থাকতে চাইনা রাজ্য। নরেন্দ্র মোদী বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি মঞ্চ থেকেই ঘোষণা করলেন, বাংলা আর কেন্দ্রের বদান্যতা হয়ে থাকবে না। মমতার এই ঘোষণায় রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি লোকসভা ভোটের মুখে কেন্দ্রবিরোধী প্রচারের অভিমুখ বদলাচ্ছেন মমতা। সোমবার থেকে বাংলার শ্রমিকদের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা দেওয়ার কাজ শুরু করেছে মমতার সরকার। তার পর দিন মঙ্গলবার ছিল পুরুলিয়ার প্রশাসনিক সভা। মমতা সেখানেও জানান, তাঁর সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অনেকের অ্যাকাউন্টেই টাকা পৌঁছে গিয়েছে। বাকিদেরও ২-৩ দিনের মধ্যে পৌঁছে যাবে। সাধারণ মানুষের কাছে মুখ্যমন্ত্রী বোঝাতে চাইছেন যে কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না, বরং এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের টাকা দিচ্ছে। কেন্দ্রবিরোধী প্রচারের অভিমুখ বদলাতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার প্রসঙ্গ তুলে এদিন মমতা বলেন, আবাস যোজনার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকাও বন্ধ রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। মমতা ঘোষণা করেন, আবাস যোজনার টাকাও আমরা দেব। ১ এপ্রিল পর্যন্ত দেখব। তার মধ্যে কেন্দ্র টাকা না দিলে, ১১ লক্ষ বাড়ি নথিভুক্ত রয়েছে, যাঁরা সার্টিফিকেট পেয়েও বাড়ি পাননি, তাঁদের বাড়ি বানানোর টাকা রাজ্য সরকার দেবে।প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার পুরুলিয়ার ওই সভায় আরও কিছু ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ১০০০ ভলান্টিয়ার নিয়োগ করার পরিকল্পনা করেছেন তিনি। এঁরা মাসিক ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরি পাবেন। বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর আক্রমণে যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবার থেকে একজনকে চাকরি দেওয়া হবে। কৃষকদের জন্যে নতুন ঘোষণা করেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে কৃষকদের থেকে চাল কেনা এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য প্রতিটি জেলায় একটি করে ‘বড় বাজার’ তৈরি করে দেওয়ার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।