রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষায় এখন পর্যন্ত মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রশ্নপত্র ফাঁস আটকাতে পারেনি। পাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে একধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কর্তারা।প্রশ্নপত্রে QR কোড রাখা হাওয়া সত্বেও বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে।
শত নিরাপত্তার কঠিন বেড়াজাল থাকলেও পর পর হয়ে চলেছে পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে সরাসরি প্রশ্নপত্র চলে যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রশ্নপত্রে থাকা QR কোড দেখে ‘অপরাধী’-কে খুঁজে বের করা সম্ভব হলেও, এভাবে প্রত্যেকদিনের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়া মধ্যশিক্ষা পর্ষদ যেন বেআব্রু হয়ে পড়ছে।
বার বার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, কিছু কিছু পরীক্ষার্থী খারাপ কাজ করার উদ্দেশ্য নিয়েই এমন কাণ্ড ঘটাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ার গ্রুপের মাধ্যমে তারা অন্যান্য বহু পরীক্ষার্থীর ফোনে পৌঁছে দিচ্ছে মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র। এই সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ-গুলিতে প্রায় কয়েকশো অন্যান্য পরীক্ষার্থী একজোট হয়ে রয়েছে বলেও জানতে পেরেছে পর্ষদ। তাহলে একটা বড়সর চক্রের অনুমান করছেন পর্ষদ সভাপতি?
আগামীকাল সোমবার ইতিহাস পরীক্ষা। তার আগে কতটা সতর্ক থাকছে পর্ষদের আধিকারিকরা? এই প্রশ্নের জবাবে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় THE WHITE BANGLA কে জানিয়েছেন নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পুলিশকেও এবিষয় পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার মুখেই যাতে ছাত্র ছাত্রীদের ভাল ভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। এবং যাঁরা দায়িত্বে রয়েছেন তারাও প্রশ্নপত্র দেওয়ার আগে প্রত্যেকের কাছে দেখে নিতে হবে পরীক্ষার হলে মোবাইল বা কোন ডিজিটাল গেজেট আছে কিনা।
প্রশ্নপত্র ফাঁস করার এই সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপের প্রধান ব্যক্তি একজন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীই। এই গ্রুপের যে কোনও সদস্য নিজের পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে ছবি তুলে প্রশ্নের ছবি পাঠিয়ে দিচ্ছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কসে।শনিবার ইংরেজির প্রশ্নপত্র ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় মালদহের ১১ জন পরীক্ষার্থীকে পাকড়াও করে তাদের পরীক্ষা বাতিল করার পর এমন কথা জানিয়েছেন রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়