Chief Minister’s meeting in Jyotipriya (Balu) district! What to say about Sandeshkhali? March 12 answer in Habra? People are looking at that
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার একচ্ছত্র ভাবে দলকে যেভাবে সাজিয়েছিল সেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় জেলে রয়েছে। অবশ্য তার অনুপস্থিতি এখন আর বোঝা যায় না। সাম্প্রতিক গত প্রায় এক মাসের অধিক সময় ধরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি। বিরোধীরা বার বার প্রশ্ন তুলেছিল এ রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন সন্দেশখালিতে এলেন না।
লোকসভার দামামা বেজে গিয়েছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, এরাজ্যে তিনবার ঘুরে গিয়েছেন। সন্দেশখালীর নির্যাতিতাদের সাথে আলাদাভাবে কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।অবশেষে উত্তর ২৪ জেলায় যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামি ১২ মার্চ হাবড়ার বানীপুরের মাঠে প্রশাসনিক সভা থেকে জেলার একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন তিনি।
রেশন দুর্নীতি মামলায় গত ২৭ অক্টোবর
গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তণ খাদ্য ও বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আগেই খাদ্যমন্ত্রীর পদ। ভীষণ দুর্নীতি কাণ্ডে জেল হেফাজতে থাকায় তার বন মন্ত্রীর পদ খুইয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়। বালুর জেল যাত্রা বা সন্দেশখালি উত্তর পরিস্থিতিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক সভা।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বিহীন উত্তর ২৪ পরগনা এবং সন্দেশখালীর শেখ শাহজাহানের গ্রেপ্তার
এই জোড়া ফলায় বিদ্ধ রাজ্যের ঘাসফুল শিবির। আসন্ন লোকসভা নির্বাচন। বালুর জেলে যাওয়া সন্দেশখালি উত্তপ্ত হওয়া এই দুইয়ের বাইরেও উত্তর ২৪ পরগনায় ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের সংসদ অর্জুন সিংহ এবং বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ অনেকটাই বেকায়দা ফেলেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে আসরে খোদ নেমে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন,লোকসভার আসন সংখ্যার নিরিখে রাজ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই জেলা নিয়ে যথেষ্ট অস্বস্তিতে রয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। একমাত্র এই জেলাতেই রয়েছে পাঁচ পাঁচটি লোকসভা আসন। বনগাঁ, ব্যারাকপুর, বারাসত, বসিরহাট ও দমদম। ফলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জেল যাত্রা বা সন্দেশখালির ঘটনা যাতে লোকসভা নির্বাচনে তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে না পারে তারজন্য সচেষ্ট তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টায় একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছেন তাঁরা। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও যাচ্ছেন এই জেলায় সভা করতে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় প্রতিটা জেলাতেই একটা করে সরকারি পরিষেবা প্রদান সভা সেরে ফেলেছেন। বাকি ছিলো শুধু দুই ২৪ পরগনা।
লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে সম্ভবত দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কোনো সরকারি মিটিং করার আর সময় পাবেন না মুখ্যমন্ত্রী। গত বুধবার মন্ত্রীসভার বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ১৩ (মার্চ) তারিখের পর যে কোনো দিন নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। তাই ১২ তারিখের মধ্যে সরকারি সব প্রকল্পের কাজ শেষ করে উদ্বোধন করে দেওয়ার উপর জোর দেওয়ার কথাও বলেছিলেন তিনি। নবান্ন সূত্রে খবর, ১২ তারিখ হাবড়ার বানীপুরের মাঠের সভা থেকে শুধু উত্তর ২৪ পরগণা নয়, রাজ্যের আরও বেশ কয়েকটি জেলার বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী।