There are 3,500 voters above the age of 100. The first vote is fifteen lakhs
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ৪২ আসনের সাংসদ বাছবেন রাজ্যের প্রায় সাড়ে সাত কোটি ভোটার। এই ভোটারদের একটা বড় অংশ রয়েছেন ১৮ থেকে ১৯ বছর বয়সের ভোটাররা অর্থাৎ যারা এ বারই প্রথম কোন নির্বাচনে অংশ নেবেন। তবে চমকে দেওয়া তথ্য হচ্ছে ১০১ বয়স পার করা ভোটারের সংখ্যায়। রাজ্যে প্রায় সাড়ে তিন হাজারের বেশি ভোটার রয়েছেন যারা ইতিমধ্যেই ১০১ বছর পার করে ফেলেছেন।
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এবার আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৭ কোটি ৫৯ লক্ষের কিছু বেশি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত সাত দফায় হতে চলা সাধারণ নির্বাচনে। এরমধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৩ কোটি ৮৫ লক্ষের কিছু বেশি। রাজ্যের মহিলা ভোটাররা গত কয়েকটি নির্বাচনে নির্ধারক ভূমিকা পালন করে আসছে। আমাদের রাজ্যে এরূপ মহিলা ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ৭৩ লক্ষের কিছু বেশি। মোট ভোটারের সংখ্যা হয়তো আরও কিছুটা বাড়বে। তবে এখনো পর্যন্ত যে তথ্য হাতে এসেছে এবং মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এর দফতর থেকে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে সেই অনুসারে আমাদের রাজ্যে ১০১ বছরের ঊর্ধ্বে ভোটারের সংখ্যা ৩,৫৪১ জন। যা স্মরণাতীত কালে সর্বাধিক বলেই মনে করা হচ্ছে। লোকসভা কেন্দ্র নিরিখে ১০১ পার করা ভোটার সবচেয়ে বেশি রয়েছে রায়গঞ্জ কেন্দ্রে। সেখানে এই ধরনের ভোটারের সংখ্যা ৩০৯ জন। আর কলকাতা উত্তর কেন্দ্রে ১০১ বছর পার করা ভোটারের সংখ্যা সবচেয়ে কম, মাত্র ১১ জন। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আমাদের রাজ্যের প্রথম ভোটার অর্থাৎ যাদের বয়স ১৮ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে সেই সংখ্যাটাও কম নয়। এবার প্রায় ১৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৯৮৫ জন তাদের প্রথম ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। চমকে দেওয়ার মতো তথ্য রয়েছে ৮৫ উর্ধ্ব ভোটারদের সংখ্যাতেও। এবার আমাদের রাজ্যে ৮৫ বছরের ঊর্ধ্বে থাকা ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষ ৭৮ হাজার ৭১৯ জন। এইসব ভোটারদের জন্য অর্থাৎ যাদের বয়স ৮৫ বছরের ঊর্ধ্বে, তাদের জন্য ইলেকশন কমিশন বাড়িতে গিয়ে ভোট নেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেছে। শারীরিক অসুস্থতা বা অন্যান্য যে কোন কারনে যদি ৮৫ বছরের বেশি বয়সী কোনো ভোটার মনে করেন যে ভোট গ্রহণ কেন্দ্র বা বুথে গিয়ে ভোট দিতে তিনি অপারগ, তাহলে তার বাড়িতেই সরাসরি পৌঁছে যাবেন নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা। সেখানে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে তিনি তাঁর ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। এবং এক্ষেত্রেও তাঁর ভোটের সম্পূর্ণ গোপনীয়তা রক্ষা করবে নির্বাচন কমিশন।