Bengal politics has become heated with nature. Bengal is now the battlefield of arrogance, threats, abuse
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
মার্চের শেষে জেলায় জেলায় তাপপ্রবাহ চলছে। আর সেই সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের পারদ ও চড়তে শুরু করেছে। মনে হয় যেন কেউ মৌচাকে ঢিল মেরেছে। সকলেই যেন ছুটছে। এ পাড়া থেকে ওপারা গুলি থেকে তস্য গলি ছুটে বেড়াচ্ছে ভোট পাখিরা।
লোকসভা নির্বাচনে নির্ঘণ্ট ও প্রকাশ হয়ে যাবার পর থেকেই সারাদেশ জুড়ে তুমুল প্রচার অভিযান চলছে কোথাও জোট কোথাও ঘট কোথাও আসন সমঝোতা কোথাও বা একলা চলো রে।
বাংলার রাজনীতিটা একটু অন্যরকম। এখানে মানুষ আবেগ দিয়েই রাজনীতি করে। দলীয় প্রার্থীদের জেতাতে পৌরসভার প্রতিনিধি থেকে পঞ্চায়েত প্রতিনিধি বিধায়ক থেকে রাজ্যের মন্ত্রী সর্বত্রই প্রচারের ঝাঁঝ তুলেছে ঝড় তুলেছে। ঠিক তেমনিযাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে গিয়ে শওকত বললেন, ‘ভাঙড়ে সায়নী ঘোষকে বিপুল ভোটে লিড দিন। তিন বছরে যে উন্নয়ন হয়নি, দেড় বছরে সেই উন্নয়নের দায়িত্ব আমি কাঁধে তুলে নিলাম।’
লোকসভা নির্বাচনে ফের একবার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক শওকাত মোল্লা।ভোট প্রচারে গিয়ে দলীয় কর্মীদেরই হুমকি দিয়ে বসলেন তিনি! ”দলে থেকে কেউ বেইমানি করলে ৪ জুনের পর সুদে-আসলে বুঝে নেব। কোনও নেতা যদি কারও কাছে ভিখারির মতো হাত পেতে পয়সা নেয়, দল কড়া ব্যবস্থা নেবে।” যাদবপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষের সমর্থনে শনিবার ভাঙড়ে একটি জনসভা করেন শওকত। সেখান থেকে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
লোকসভা নির্বাচনে শাসক দল হোক বা বিরোধী দিকে দিকে সব রাজনৈতিক দলের প্রচারের পারদ চড়ছে। তারই মধ্যে নেতা-মন্ত্রীদের মুখ ফসকে বেরনো নানা মন্তব্য আলোচনার বিষয় হয়ে উঠছে। যেমন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিতর্কিত নেতা শওকত মোল্লা। যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে ভাঙড়ে জনসভা করতে গিয়ে তিনি দলীয় কর্মীদের বোঝাচ্ছিলেন, সায়নীকে জেতাতে কীভাবে কাজ করতে হবে। শওকতের কথায়, ”ভাঙড়ে সায়নী ঘোষকে বিপুল ভোটে লিড দিন। তিন বছরে যে উন্নয়ন হয়নি, দেড় বছরে সেই
নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা একের পর এক বেফাঁস মন্তব্যে দলকে বেশ খানিকটা বেকায় দেয় যে তারা ফেলছেন তা তারা অকপটেই স্বীকার করে নিতে পারেন। বর্ষিয়ান বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গে কুরুচিকর মন্তব্য। এখানেই শেষ নয়, তমলুকের বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তিনিও মুখ্যমন্ত্রীকে বিধ্তে ছাড়েননি। উল্টোদিকে সিপিএম প্রার্থী সায়ন ব্যানার্জি থেকে তৃণমূলের প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য একের পর এক মন্তব্য। বঙ্গ রাজনীতিতে এই ধরনের ঘটনা প্রথম নয়।
দুর্নীতি ইস্যুতে শাসক শিবিরের নেতাদের কোণঠাসা করতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে বিরোধীরা। তা নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বার বার সতর্কবার্তা দিয়েছে। সে পথে হেঁটেই শওকতও সতর্ক করলেন দলীয় কর্মীদের। ভাঙড়ের জনসভা থেকে তিনি বলেন, ”কোনও দুর্নীতি বরদাস্ত করা যাবে না। কোনও নেতা যদি কারও কাছে ভিখারির মতো পয়সা নেয় দল কড়া ব্যবস্থা নেবে।’’ এদিন শওকতের নিশানায় ছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও। তাঁর উদ্দেশে শওকতের খোঁচা, ”বিজেপির নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে চলছে নওশাদ।