December 14, 2024 9:37 am

২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

December 14, 2024 9:37 am

২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Loksabha election fight:লাল সন্ত্রাস আর নীল -সাদা সন্ত্রাসের মধ্যে পার্থক্য কি?

Facebook
Twitter
LinkedIn
Pinterest
Pocket
WhatsApp

What is the difference between red terror and blue-white terror?

সুবল সরদার

রাজ্য

দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:

মহান ভারতের মহান জনগণ, মহান সংবিধান, মহান সুপ্রীম কোর্ট ,মহান গণতন্ত্রের অষ্টাদশ নির্বাচনের এখন রক্তক্ষয়ী লড়াই চলছে মাঠে ,ময়দানে গরমে ,কালবৈশাখীর ঝড়ের মধ্যে। নির্বাচনে এখন শেষের পথে। তারপর দেখবো কে দিল্লির মসনদে বসে। জনগণ এখন শুধু ভোটার নয়, দায়িত্বশীল নাগরিক ‌ । তাই ভোটদানের মাধ্যমে সরকারের পালাবদল হয়। এক সরকার যায় আর এক সরকার আসে। বঙ্গে দীর্ঘ লাল সন্ত্রাসের পর এক নতুন নীল- সাদা সরকারের ভূমিষ্ঠ হয় আশা স্বপ্নের দোলা চেপে। কলকাতা লন্ডন হবে, প্যারিস হবে, অশ্ব ডিম্বো প্রসব করবে কত কী স্বপ্ন ছিল। শিল্প হবে, বেকাররা চাকরি পাবে তৃণমূল সরকারের সুপ্রীমো স্বপ্ন দেখাতে শুরু করলেন। আমরা ও স্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম। অচিরে ভুল ভাঙ্গে। হাট্টি মাটিম টিমের মতো তারা মাঠে ডিম পাড়ে। অসুন্দররা ফুলের সৌন্দর্য্য বর্ণনা করে,কবিতা লেখা ‘ওপাং এপাং ঝপাং’সব এখন চিৎ পটাং । পাহাড়ের গোলাপের মতো সে এক মৃত্যু উপত্যকা সৃষ্টি করে ‌।
কলকাতায় পা দিয়ে রবীন্দ্র সঙ্গীত শুনলাম। তারপর শুনলাম কখন নাকি শান্তিনিকেতন থেকে নোবেল পুরস্কার চুরি হয়ে গেছে। এই সরকারের গায়ে হাজার ব্যাধিতে ভরা । নাটুকেপনা থেকে দেউলিয়াপনা করে তুলেছে বঙ্গকে। বঙ্গ রসাতলে যাচ্ছে। জলের (কুড়ি টাকা মদের পাউচে) ফোয়ারে রাজ্য ভাসছে। এখন সব চুরি গেছে চাকরি চুরি,বালি চুরি, কয়লা চুরি,গরু চুরি, টাকা চুরি । এখন কাটমানি কালচার চালু হয়েছে। ভয়ঙ্কর সন্ত্রাস থেকে আরো ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসের কবলে জনগণ। লাল সন্ত্রাস আর নীল সাদা সন্ত্রাসের মধ্যে পার্থক্য কি? সন্ত্রাসের কোন চরিত্র হয় না। তার একটাই চরিত্র শুধু সন্ত্রাস করা। জনগণ দিশেহারা। দেওয়ালে পিঠ গেলে তারা প্রতিবাদ ,প্রতিরোধের জন্যে পথে নামে ‌। মুখ খোলে। মাঠে ময়দানে নেমে লড়াই করে। এখন যেমন সন্দেশখালিতে মা -বোনদের প্রতিবাদের লড়াই দেখছি।
খেলা হবে দিয়ে এই সরকার শুরু হয় ‌। এখন খেলা শেষ। পা হাত ভেঙ্গে ব্যান্ডেজ পরে কখনোবা সুপ্রীমোর মাথা ফেটে চৌচির হয়ে রক্ত ঝরতে দেখছি । খেলা জমে উঠেছে। নিয়োগ দুর্নীতি থেকে হাজার দুর্নীতিতে সরকার জড়িয়ে পড়েছে। মন্ত্রীর সভার আজ অনেকে জেলের ঘানি টানছে। সরকার জল ছাড়া মাছের মতো খাবি খাচ্ছে এই বুঝি প্রাণ যায়। যারা জনগণের টাকা আত্মসাৎ করে, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে,যারা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হয় তাদের একমাত্র স্থান জেলে।
দুর্নীতিগ্ৰস্ত নেতারা জেলে ঘানি টানে। তার মুক্তি খোঁজে হাইকোর্ট কিংবা সুপ্রীম কোর্ট থেকে বেলে ‌। তারা কখনো সততা প্রমাণ করতে চায় না । তাদের বিরুদ্ধে কোন কেসের নিষ্পত্তি হোক তারা কখনো চায় না । । অবশ্য হাইকোর্ট থেকে সুপ্রীমকোর্ট কেসের নিষ্পত্তি কদাচিৎ হয । এটা নাকি দীর্ঘমেয়াদি প্রসেস। তাই হার- জিৎ ,জয় -পরাজয় জীবন দশায় কেউ দেখতে পায় না। মুক্তির মন্দির নাকি দীর্ঘমেয়াদি পথের দিশারী । সেই কারণে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মামলা সুপ্রীম কোর্টে দু বছর ধরে অপেক্ষা করছে বিচারের আশায়। সেখানে নাকি এই মামলার শুনানির সময় হচ্ছে না । অন্যদিকে নিয়োগ দুর্নীতি করতে যারা সুপার নিউমেরিক পোষ্ট তৈরি তারা সুপ্রীম কোর্ট থেকে রাতারাতি রক্ষা কবচ পেয়ে যায়। সিবিআই শিক্ষা দপ্তরের মাথাদের এবং মাথার মাথাদের ধরতে পারে না বা জেরা করতে পারবে না। দুর্নীতির তদন্ত করতে পরে না এমন আদেশ দেশের সর্বোচ্চ মহামান্য আদালত থেকে পাশ হচ্ছে। তার মানে যতো খুশি দুর্নীতি করো কুছ পরোয়া নেহি কারণ মাথার উপর সুপ্রীম কোর্ট আছে। অন্যদিকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন সুপ্রীম কোর্টে জাস্টিস সঞ্জীব খান্না এবং জাস্টিস দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ থেকে কারণ তিনি নাকি এই লোকসভা নির্বাচনের স্টার ক্যাম্পেনার। সুপ্রীম যুক্তি মানতেই হয়। কোটি কোটি টাকার মদ কেলেঙ্কারি থেকে বিদেশি ফান্ড ঢোকে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে,খালিস্তানির পৃষ্টপোষকতা থেকে দেশে বিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে তিনি জড়িত । তারপরও তিনি অন্তর্বর্তীকালীন বেল পেলেন। অবশ্য তাঁর মন্ত্রীসভার দু’মন্ত্রী এখনো জেলে বন্দি। জনগণ ক্রমশঃ বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা হারাচ্ছে । তারা এখন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। ‘The bail granted to Arvind Kejriwal is a glaring example of the biased and unjust decision made by the judiciary in the history of India. — ‘ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বেল প্রসঙ্গে এমন মন্তব্য বলেছেন সুপ্রীম কোর্টের বরিষ্ঠ আইনজীবী হরিশ সালভে।
আজকের এরকম কঠোর পরিস্থিতিতে মধ্যে দিয়ে আমরা যাচ্ছি। সংবিধান মোতাবেক সুপ্রীম কোর্ট চলছে না। কখনো সুপ্রীম কোর্ট অধিক সক্রিয় কখনো নিষ্ক্রিয়। গণতন্ত্র বিপন্নতা বোধ করে। মনে হয় গ্ৰান্ডট্রাক রোড ধরে কলকাতা এখন দিল্লির দিকে যাচ্ছে। দুর্নীতিগ্ৰস্ত নেতাদের সব মুক্তি আছে সেখানে মুক্তির মন্দিরে । যে নাটক দেখতে বাকি ছিল সেই নাটক দেখছি এখন আমরা। গণতন্ত্রের এ গরিমা নয় গরল। গরমে গরমে নির্বাচন কাটবে। কিছু রক্ত ক্ষয় হবে। তারপর দেখবো শেষ হাসি কে হাসে,? কে দিল্লির গদিতে বসে? কিছুদিন পর নাটকের পর্দা উন্মোচন হলে বোঝা যাবে। এখন আমরা সাসপেন্স নিয়ে অপেক্ষা করবো

Facebook
Twitter
LinkedIn
Pinterest
Pocket
WhatsApp

Related News

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top