Abhishek Banerjee said in the party meeting that this vote is a revenge vote
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৪, লোকসভা ভোট ধর্ম নিরপেক্ষতার ভোট,প্রতিশোধের ভোট, প্রতিবাদের ভোট দলীয় সাংসদ, বিধায়ক, জেলার সভাপতিদের এই বার্তা দিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলার যে মোট ৩৩৪৩ টি অঞ্চল রয়েছে সেখানে আগামি ১৮ তারিখ থেকে একটা সহায়তা শিবির করবেন। আমরা তথ্য সংগ্রহ নামছি। ১৮ তারিখ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিন ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত এই শিবির চলবে। এই শিবিরে একটা ফর্ম দেওয়া হবে। সেই ফর্ম আপনারা ফিলাপ করবেন। সেই ফিলাপ করা ফর্ম আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেবো।
যে জমিদাররা প্রকাশ্যে বলবে, বিবৃতি দিয়ে বলছেন আমরা বাংলার টাকা আটকে রাখবো, সেই জমিদারদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই।
১ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা বকেয়া।
আর গত কয়েক বছরে বাংলা থেকে ৪ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গিয়েছে।
এই সহায়তা শিবির দলের তরফে হবে। সরকার করবে না। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার শিবির ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে। তাই দক্ষিণ ২৪ পরগণা বাদ দিয়ে বাকি সব জেলাতে হবে।
১ তারিখের মধ্যে যাতে সকল বঞ্চিত মানুষের টাকা আমরা ফিরিয়ে দেবো।
আমি বিধায়কদের অনুরোধ করবো আগামি ১৮ তারিখ থেকে আট দিন প্রতিটা শিবির অন্তত দুই বার করে ভিজিট করবেন। তাতে আট দিনে অন্তত ৩০ টা শিবির ভিজিট করতে পারবেন। বিধায়কদের ক্ষেত্রে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় কে বলবো আপনি সমস্ত তৃণমূল বিধায়কদের বিষয়টি জানিয়ে দেবেন।
দুই বছর ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের এই লড়াইয়ের কথা বলবেন।আমি সাংসদদের বলবো আপনার এলাকার সাতটা বিধানসভার অন্ততঃ প্রতিটা বিধানসভার পাঁচটা করে শিবিরে ভিজিট করবেন।* আমি লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় কে বলবো সমস্ত সাংসদদের এটা জানিয়ে দেবেন।
বিধায়ক, সাংসদ রা একসঙ্গে যেতেই পারেন।
যেখানে যেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নেই, সেখানে ব্লক সভাপতিরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে আপনাদের বিধানসভা ১০ জন এসসি ও ৫ জন এসটি নাম পাঠাবেন আগামি ৫ দিনের মধ্যে। এমন নাম পাঠাবেন যাদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে যারা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত। যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এর লড়াই এর সমর্থক।
এই পনেরো জনকে আমরা কাজে লাগাবো। যেভাবে বছরের পর বছর বিজেপি এস/এসটি দের উপর যে নিপীড়ন করেছে সেই কথা আমরা তুলে ধরবো। এমন নাম পাঠাবেন না যে আপনার কাছের লোক তাই পাঠিয়ে দিলেন। আমরা ক্রশ চেক করবো।
বাংলায় যে’কটি বুথ রয়েছে সেই প্রতিটা বুথ থেকে চার টি করে নাম ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পার্টির কাছে পাঠাবেন। মাদার সংগঠন থেকে দুই জন, একজন মহিলা সংগঠন ও একজন যুব সংগঠনের (যার বয়স ৪০ বছরের কম)। এই সেনাদের আমরা কাজে লাগাবো।
গত দুই বছরে ৩৩০ টে কেন্দ্রের দল এসেছে। মানে মাসে দশটা করে এসেছে। আপনারা আসুন, কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু আপনারা মানুষের টাকা আটকে রেখেছেন গত দুই বছর ধরে।অঞ্চল সভাপতিরা ব্লকের সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করে বুথের সভাপতিদের সঙ্গে কথা বলুন। বুথের দায়িত্বে যারা রয়েছেন আগামি ১৫ দিন (১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত) নিজেদের এলাকায় হাটে বাজারে মানুষের কাছে জান। তাদের কে বলুন তৃণমূল কংগ্রেস কিভাবে মানুষের দাবি নিয়ে গত দুই বছর ধরে লড়াই করে আসছে।*
আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর মাথা নত করবো না। বাংলাকে কেউ বঞ্চিত করতে পারবে না, ভাতে মারতে পারবে না।আমরা কোনো বৈষম্য করি নি। যেখানে তৃণমূল জেতে নি সেখানেও কি কেউ বলতে পারবে যে সরকারের কোনো একটা প্রকল্পের সুবিধা তারা পান নি। আর বিজেপি ২০২১ সালে এরাজ্যে হেরেছিলো বলে দুই বছর ধরে আমাদের প্রাপ্য টাকা আটকে রেখেছে।
আমি বলেছিলাম পঞ্চায়েতে ধর্মের নামে ভেদাভেদি নয়, বিজেপির জুমলাবাজি নয়, আপনারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজ দেখে ভোট দিন। মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের উপর আস্থা রেখেছে সরকারের কাজ দেখেই।১ মার্চ ও ২ মার্চ সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিটা অঞ্চলে একটা করে সভা করবে। সেই সভাতে প্রতিটা বেনিফিসিয়ারিকে আনা হবে যারা এই টাকা পেয়েছে।* পাশবই আপ টু ডেট করেই যেন তারা সভায় আসে। রাজ্য প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ওই সভাগুলো করা হবে।
কোথাও ১ তারিখ হবে কোথাও ২ তারিখ। যেখানে সভা হবে সেখানে বেনিফিশিয়ারিদের নিয়ে আসার দায়িত্ব আমাদের পঞ্চায়েতের সদস্যদের।
বিজেপির যেসব সাংসদরা জিতেছেন তারা সবাই বলছে বাংলার টাকা আটকান। এরা চায় না বাংলায় লক্ষীর ভান্ডার হোক, বাংলার মানুষ টাকা পাক।বিরোধীদের কথা কি বলবো। সন্দেশখালি নিয়ে এত নাচানাচি। চোপড়ায় বিএসএফের গাফিলতির কারণে চারটে ফুটফুটে শিশু মারা গেছে। ভেবে দেখুন বিএসএফ বেআইনি ড্রেন খনন করছে। আর সেই ড্রেনে পরে চারটে শিশুর মৃত্যু হলো। কে গেছে সেখানে।বিজেপির রাজ্য সভাপতি গাড়ি থেকে পা পিছলে পড়ে গেছে। সেই কারণে সরকারের আমলাদের স্বাধীকার ভঙ্গের নোটিশ পাঠাচ্ছে। আর আমাদের নেতাদের দিল্লিতে কি করা হয়েছিল?