24th Bengal Left Congress will have to return empty-handed! Trinamool Congress ahead, BJP behind! Various surveys say
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
ট্রেন হোক বা মেট্রো, বাস থেকে ট্যাক্সি, রাস্তায়, পাড়ার মোড়ের চায়ের দোকানে এখন এখন একটাই আলোচনা ভোট। পাড়ার চায়ের দোকান হোক বা অফিস পাড়া চায়ের দোকানগুলোতে চায়ের চুমু খেয়ে ঝড় উঠেছে ভোটের আলোচনা নিয়ে। রাজ্যের ৪২ টি আসনে কে কোথায় জিতবে কে কোথায় হারবে? তা নিয়ে চলছে তুমুল কাটাছেঁড়া। কেউ এগিয়ে রাখছে বিজেপিকে কেউ আবার এগিয়ে রাখছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। কিন্তু বাম এবং কংগ্রেস তাদের অবস্থান নিয়ে এখনো স্পষ্ট কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হচ্ছে না কেউই।
শনিবার বাসোরিয় দুপুরে দিল্লিতে লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। বাংলায় ৪২ টি আসনের নির্বাচন হবে ৪৩ দিন সময় লাগবে যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রীর চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য তামিলনাড়ুতে ৩৯ টি আসনের নির্বাচনে একদিনে হলে বাংলায় ৪২ টি আসনের জন্য ৪৩ দিন অর্থাৎ সাত দফার প্রয়োজনী হল কেন?
২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন বাংলার ৪২ টি আসনের মধ্যে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো বিজেপি কংগ্রেস সিপিআইএম আইএফএফ তারা কটি করে আসন পেতে চলেছে তা নিয়ে একাধিক সংস্থাজনমত সমীক্ষা করেছে।
যে সকল জনমত সমীক্ষায় উঠে আসছে সারা দেশে কতগুলি আসন পাবে এন ডিএ (NDA) জোট। যে সকল জনমত সমীক্ষায় উঠে আসছে বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি এবং অন্যান্য দলগুলি কেমন ফলাফল করবে। ঠিক সেই রকমই পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের নিয়ে যে জনমত সমীক্ষা করা হয়েছে সেই জনমত সমীক্ষায় । বাংলায় ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে ফলাফল অনেকটাই প্রভাব পড়বে লোকসভা নির্বাচনে। বিজেপি গতবারে ১৮টি আসন পেলেও ২৪শের লোকসভা নির্বাচনে তাদের সংখ্যা কিন্তু অনেকটাই নিম্নমুখী হয়ে যাবে। আর তরতরিয়ে উপরে উঠবে তৃণমূল কংগ্রেস এমনটাই পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন হয়েছিল সাত দফা। সেবারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা ও তুলনামূলক কম ছিল। ২৪ এর লোকসভা নির্বাচন একেবারে অন্য একটি মাত্রায় নিয়ে যেতে চলেছে, কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। এবারেও বাংলায় মোট ৭ দফায় ভোট গ্রহণ হবে। এবারের লোকসভা নির্বাচনী হচ্ছে সবচেয়ে দীর্ঘ দফার লোকসভা নির্বাচন। পশ্চিমবঙ্গে ভোট গ্রহণ শুরু হবে অর্থাত্ প্রথম দফা ১৯ এপ্রিল এবং শেষ দফা হল ১ জুন। অর্থাত্ পশ্চিমবঙ্গে ভোট চলবে ৪৩দিন ধরে। এবারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা ৯২০ কোম্পানি। ফলাফল প্রকাশিত হবে ৪ঠা জুন
২০১৯ সালের ১৭তম লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে বিজেপি পেয়েছিল ১৮টি আসন। শাসক দল তৃণমূল পেয়েছিল ২২ টি আসন। বাকি দুটি আসন পেয়েছিল কংগ্রেস।অপ্রত্যাশিত ভাবেই বিজেপি যে ১৮ টি আসন পেয়ে ছিল । যে কারণে এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রত্যাশা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের তরফ থেকে রাজ্যের নেতাদের ৩৫টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে।
৩৫ হোক বা ৪২ আসন সময় তার যথার্থ উত্তর দেবে। উৎসবের মেজাজে মানুষ তার গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবে। তা প্রতিফলিত হবে ভোট বাক্সে। ভোট বড় বালাই! কেন্দ্রীয় সরকার থেকে রাজ্য সরকার একের পর এক জনমুখী প্রকল্প থেকে শুরু করে বকেয়া মেটানো একাধিক উদ্যোগ তারা নিয়েছে। পেট্রোল ডিজেলের দাম থেকে গ্যাসের দাম কমিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার যা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে ভোটের মুখে কেন দাম কমলো। প্রশ্ন উঠেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকেও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশা কর্মী থেকে অঙ্গন বাড়ির কর্মী একশ দিনের রেগার কাজের টাকা দিয়ে বড় ঘোষণা করেছেন। লোকসভা নির্বাচনে বিভিন্ন সংস্থা ইতিমধ্যেই জনমত সমীক্ষা করেছে যেখানে অনেকেই দেশের শাসক দল বিজেপি যাকে অনেকটাই এগিয়ে রেখেছে তবে বাংলায় বেশকিছু প্রশ্ন তারা তুলে দিয়েছেন।
বেশ কিছু জনমত সমীক্ষা বলছে, রীতিমত পিছলে পড়বে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। তৃণমূল এবার ১৬ তেই আটকে যেতে পারে। অন্যদিকে বিজেপি তরতড়িয়ে বেড়ে পেতে পারে ২৬টি আসন। যদি টিভি 9, পোলস্ট্র্যাট ও পিপলস ইনসাইটের জনমত সমীক্ষা বাস্তব রূপ পায় তাহলে এবার বিজেপি এক ধাক্কায় আটটি আসন বাড়িয়ে ফেলবে। অন্যদিকে বাম ও কংগ্রেসের মতো রাজনৈতিক দলগুলিকে শূন্য হাতে নির্বাচন শেষ করতে হবে। এদিকে রবিবার বামফ্রন্ট শরীকদের নিয়ে চূড়ান্ত বৈঠকে বসতে চলেছে সিপিআইএম। কংগ্রেসের সাথে জোট বেদেই হয়তো লোকসভা নির্বাচনের পথে হবে রাজ্য বামফ্রন্ট। তবে আইএসএফ তাদের জোট ভবিষ্যৎ কি সেই প্রশ্ন ঝুলেই রয়েছে।