Party workers clashed in front of Trinamool Congress candidate Kirti Azad. The candidate took refuge in the temple out of fear.
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
শাসক দল হোক বা বিরোধী, প্রার্থী পছন্দ নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ বারবার ফেলেছে। এক একটা জেলায় একাধিক প্রার্থীর নাম এসেছে শাসকবিরোধী রাজ্য দপ্তরের। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে আরতে শাসকবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি, তারা বাইরে থেকে প্রার্থী দিয়েছে।
বর্ধমান দুর্গাপুরের লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ যাকে মেদনীপুর থেকে তুলে নিয়ে এই কেন্দ্রের প্রার্থী করেছে দল। অন্যদিকে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবারে প্রার্থী করেছেরকীর্তি আজাদকে।
প্রচন্ড দাবদাহের মধ্যেই জোড় কদমে চলছে প্রার্থী প্রচার। রবিবার ছুটির দিন তাই এই দিনটা প্রার্থীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা দিন। সেদিন পরিবারের অভিভাবকরা বাড়িতেই থাকেন এবং মার্কেট বাজারে তাদের সাথে সরাসরি পরিচয় করতে অনেকটাই সুবিধা হয়। সেই প্রচারের শুরুতেই বিপত্তি। প্রচার চলাকালীন তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের সামনেই চরমে উঠল দলের গোষ্ঠীকোন্দল। কথা কাটাকাটি থেকে হাতাহাতি, শেষমেশ দুর্গাপুরে সংঘর্ষের আকার নেয় আইএনটিটিইউসির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। প্রচার থামিয়ে ‘ভয়ে’ মন্দিরে আশ্রয় নিলেন প্রার্থী কীর্তি আজাদ। এই ঘটনায় বিজেপি কটুক্তি করতে ছাড়েনি। বিরোধীরা বলছে এটাই তৃণমূল কংগ্রেসের সংস্কৃতি।
রবিবাসরীয় সকাল হাতছাড়া করতে চাইছেন না কোন প্রার্থীরাই। রাজ্যের ৪২ টি আসনের শাসক বিরোধী সব প্রার্থীরাই মাঠে নেমে পড়েছে। সেই মতো দুর্গাপুর পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আমরাই গ্রামে দুই বিবাদমান গোষ্ঠীর সংঘর্ষ। আইএনটিটিইউসির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মিছিলের মধ্যেই বিবাদ বাঁধে। আর তা থামাতে না পেরে ‘ক্লান্ত’ প্রার্থী কীর্তি আজাদ ঢুকে পড়লেন শঙ্করানন্দ আনন্দ আশ্রমের মন্দিরে। সেখানে তিনি অসুস্থও হয়ে পড়েন। হাততালি দিতে দিতে মন্দিরের কীর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তাল মেলান মন্দিরের সিঁড়িতে বসে থাকা বর্ধমান-দুর্গাপুরের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ। প্রায় ৩০ মিনিট পর পরিস্থিতি শান্ত পরে আবার প্রার্থী বের হন প্রচারে। সেই ঘটনায় বেশ খানিকটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন প্রার্থী কীর্তি আজাদ।