In 2024, about 29 lakh people will gather at the book fair, book sales will be about 27 crores, which has surpassed the previous year – claims the guild
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক : বই পার্বণের শেষ দিন। গত কয়েকমাস ধরে প্রকাশক, লেখক, গিল্ডের যে অসম্ভব ব্যস্ততা থাকে, এবং বছর ভরের অপেক্ষা থাকে পাঠকদের, আজ তার সমাপ্তি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেলার শেষ দিনে ভিড় বাড়লেও, একটু লক্ষ্য করলেই বোঝা যাচ্ছে, স্পষ্ট হচ্ছে মেলা ভাঙার আয়োজন। বইমেলার প্রঙ্গনে কত শত মানুষের মিলন প্রাঙ্গনে পরিণত হয়। মন খারাপের সুর শোনা গেল গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক সুধাংশু শেখর দে, সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়ের গলায়। ভারাক্রান্ত প্রকাশক, পাঠক সকলের মন।
বুধবার এসবিআই অডিটোরিয়ামে উপস্থিত ছিলেন গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক সুধাংশু শেখর দে, সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়, কোষাধক্ষ্য তাপস সাহা, যুগ্ম সম্পাদক রাজু বর্মন, বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, কমিশনার অফ বিধান নগর আইপিএস গৌরব শর্মা সহ বহু বিশিষ্ট জন। সকলেই জানালেন তাদের ১৪ দিনের বইমেলার কথা, পাশাপাশি প্রস্তুতির কথা। গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক সুধাংশু শেখর দে বইমেলা ২০২৪ সফল করার জন্য ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশ, ইউনাইটেড কিংডম, জার্মানি, কেএমডিএ,বিধাননগর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর, বিধাননগর সিটি পুলিশ, দমকল বিভাগ, পরিবহন দপ্তর, বন দপ্তর, সহ সকলকে। এখানেই শেষ নয়, ধন্যবাদ জানিয়েছেন সকল প্রকাশকদের, পাঠকদের।
প্রতি বছর প্রশ্ন থাকে, বইমেলায় ভিড় হল কত? বিক্রি হল কতটা? গিল্ডের পরিসংখ্যান বলছে ২০২৩- এর বইমেলায় যেখানে ২৫ লক্ষ মানুষ এসেছিলেন, ২০২৪ এর বইমেলায় তাঁর থেকে অনেক বেশি মানুষ এসেছেন। প্রায় ২৯ লক্ষ মানুষ গত কয়েকদিন এসেছেন বইমেলা প্রাঙ্গণে। বিক্রি হয়েছে প্রায় ২৭ কোটির। বিক্রির টাকার পরিমাণ বেশি হলেও গতবছরের তুলনায় বিক্রির হার কিছু কম। কারণ? সুধাংশু শেখর দে বলছেন, মাসের শেষের দিকে হওয়ায় অনেকেই হয়ত সমস্ত কেনাকাটা করে উঠতে পারেন নি। আগামী বারের বইমেলার দিন ছুটির, মাসের শুরু সব সামঞ্জস্য রেখেই করা হবে বলে জানিয়েছে গিল্ড।
কলকাতা বইমেলা মানে নামকরা সাহিত্যিকদের বই প্রকাশের মঞ্চ। যে সমস্ত লেখকদের বই প্রকাশের জন্য সারাবছর অপেক্ষা করে থাকেন পাঠকরা। অন্যদিকে, যাঁরা তরুণ সাহিত্যিক তাঁদের কাছেও নিজেদের মেলে ধরার অন্যতম মঞ্চ কলকাতা বইমেলা।