July 27, 2024 10:38 am

১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

July 27, 2024 10:38 am

১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Kolkata High Court-SSC Case: সিবিআই নিরপেক্ষ সংস্থা নয়! এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্তব্য প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল

Facebook
Twitter
LinkedIn
Pinterest
Pocket
WhatsApp
#high#court#ssc#recruitment#cbi#agency#

রাজ্য

 দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক : এসএসসি নিয়োগ দূর্নীতি মামলার তৃতীয় দিনের শুনানি হয় বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে। পক্ষে বিপক্ষে সওয়াল উত্তর পর্ব চলে।

বিশিষ্ট আইনজীবী অনিন্দ্য মিত্র বলেন- পঙ্কজ বনসাল একজন ইনফোসিস এর কর্মচারী। সে কোন কম্পিউটার থেকে এই হার্ডডিস্ক বের করেছিলো সেটা জানায় নি। ফলে এগুলো জেনুইন কিনা তা কি ভাবে বিচারহবে।সর্বপরী এই রেকর্ড তার বাড়িতে গেলো কি করে? সে একজন প্রাক্তন কর্মী।এটা নাইসা বা ইনফোসিসের সম্পত্তি হতে পারে কিন্তু একজন প্রাক্তন কর্মীর থেকে কিভাবে পাওয়া যাবে? এটা তো বানানো হতে পারে! সিবিআইয়ের এই বিষয়ে পুঙখানুপুঙ্খ তদন্ত করা প্রয়োজন। কি ভাবে কোথা থেকে সিবিআই তথ্য পেলো তার ব্যাখ্যা নেই।তার সত্যতা কে খতিয়ে দেখবে? সিবিআই নিরপেক্ষ সংস্থা নয় মোটই এটা বোধহয় আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন- যদি কমিশন সুপারিশ করার পরে মনে করে ভুল করে হয়েছে তাহলে কি হবে?

আইনজীবী অনিন্দ্য মিত্র বলেন- সাংবিধানিক নিয়ম মেনে যা করার করতে পারে। কিন্তু প্যানেল যতদিন ভ্যালিড ততদিন তা রিকল করতে পারেনা কমিশন।

১৪৯আন্ড ১৫১ নম্বরে হয়ে আইনজীবী জানালেন (গ্রুপ -ডি) , গ্রুপ- ডি দের টার্গেট করা সহজ। তাদের মান সম্মান নিয়ে টানা টানি করা হয়েছে। অনেকেই সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করার পথ বেছে নিতে পারে। এরা কম বেতন পায়।একটা সিস্টেমের স্বীকার হতে হয়েছে। কিছু ডিজিটাল ইমেজ নিয়ে তাকের চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এগুলো আসল না নকল কি করে বোঝা যাবে?

গ্রুপ- সি তে চাকরি হারানোদের পক্ষে আইনজীবী মুকুল লাহিড়ী বলেন দীর্ঘদিন ধরে মামলা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা তাদের নেই।দ্রুত যাতে বিচার পাওয়া যায় আদালত সেদিকে গুরুত্ব দিক।

বিচারপতি বসাক জানান – প্রচুর বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী রয়েছে তাদের প্রতি যে অন্যায় হয়েছে সেই দিকটা আপনি ভাবুন।আপনার মক্কেলরা তো চাকরি করতো। এরা চাকরি না পেয়ে লড়াই করছে।

আইনজীবী মুকুল লাহিড়ী… বিচারপতি দেবাংশু বসাকের উদ্দেশ্যে, ডিভিশন বেঞ্চ যদি সিবিআইয়ের এই নথিকে প্রামান্য ধরে কোনো পর্যবেক্ষণ দেয় সেই ভিত্তিতে নিম্ন আদালতে তার বিচার হবে।

বিচারপতি বসাক – তাহলে আপনি এর বিরোধিতা করে যুক্তি দিন।

আইনজীবী মুকুল লাহিড়ী বলেন – আমাদের জীবনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমাদের বক্তব্য শোনার প্রয়োজন মনে করেনি সিঙ্গেল বেঞ্চ শুধুমাত্র কিছু ডিজিটাল নথির ভিত্তিতে যা পাওয়া গেছে নাইসা যারা ওয়ে মার্কশীট বানাতো তাদের একজন প্রাক্তন কর্মীর থেকে।

ক্লাস নাইন টেনের ৩২ জন শিক্ষক যাদের চাকরি গেছে তাদের হয়ে জয়দীপ কর –
রুল ১৭ প্রয়োগ করে চাকরি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ।
ওয়ে মার্কশীট(মিরর ইমেজ) না আসা পর্যন্ত কোনো অসঙ্গতি চোখে পড়েনি।আসার পরেই চাকরি কাড়া হয়েছে।

কিন্তু এগুলোকে প্রামাণ্য নথি হিসাবে কি ধরা যাবে? সিবিআই যে নথি দিয়েছে তা সেকেণ্ডারি এডিডেন্স)যার উপর ভরসা করে কি কারো চাকরি কেড়ে নেওয়া যায়?

Facebook
Twitter
LinkedIn
Pinterest
Pocket
WhatsApp

Related News

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top