The State Administrative Tribunal broke the deadlock after two years with the intervention of the Chief Justice.
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল , সেচ দপ্তরের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ এবং আইসিডিএস সুপারভাইজার নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা দীর্ঘ বছর ধরে বিচারপতির অভাবের কারণে শুনানি হচ্ছিল না স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে। অথচ রাজ্য সরকার তারই মধ্যে এই সমস্ত মামলা বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও শূন্য পদে নিয়োগ চালিয়ে যাচ্ছিল বলে অভিযোগ। এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন অমিত প্রধান সহ ৩০ জন চাকুরি প্রার্থী।
মামলাকারী অমিত প্রধান সহ ৩০জনের পক্ষে আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী জানান ২০২২ সালের আগস্ট মাস থেকে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালে চেয়ারম্যান না থাকায় কার্যত থমকে গিয়েছে বিচার প্রক্রিয়া। সেখানে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ মামলা শুনানি বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। সেই কারণে রাজ্য সরকারের কর্মচারী তাদের প্রাপ্য আদায় ও শাস্তি মূলক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে মামলা এবং বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের বহু মামলা বিচারাধীন।
রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের বিভিন্ন রকমের সুযোগ সুবিধা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সার্কুলার নোটিফিকেশন বা সরকারি পদে নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগের মামলা কোন শুনানি হচ্ছে না। এ বিষয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে প্রথম যে সময় মামলা হয় সেই সময় বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছিলেন অবিলম্বে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ট্রাইবুনাল কে সমস্ত ধরনের মামলা শুনতে হবে। পাশাপাশি অবিলম্বে রাজ্য সরকারকে চেয়ারম্যান নিয়োগের জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। যাতে বিচার প্রক্রিয়া তারন্নিত হয়।কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে দিনের পর দিন মামলা শুনানি না করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলাকে শুনানি না করেই পিছিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার নির্দেশে থাকা সত্ত্বেও আইসিডিএস সুপারভাইজার নিয়োগ মামলা না শুনে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল আগামী সেপ্টেম্বর মাসে শুনানির দিন ধার্য করেছিল বলেও প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে অভিযোগ জানান মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী।
স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালে দীর্ঘদিন চেয়ারম্যান না থাকায় অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ মেম্বারের মামলা পিছিয়ে দেওয়ায় অসন্তোষ প্রধান বিচারপতি। তিনি কড়া নির্দেশ আর কোন অজুহাত নয়, অবিলম্বে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটির ট্রাইবুনালের মেম্বারকেই শুনতে হবে সমস্ত মামলা। প্রধান বিচারপতি মামলকারির আইনজীবীকে আর আশ্বাস দেন স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালে চেয়ারম্যান নিয়োগের বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন।