If the illegal construction collapses, you will not go to heaven, you will go to hell, you will not understand
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
বেআইনি নির্মাণ ভেঙে পড়ে তাহলে আপনারা স্বর্গে যাবেন না নরকে যাবেন নিজেরাই বুঝতে পারবেন না। হাওড়ায় বেআইনি নির্মাণ মামলায় যারা লটারির মাধ্যমে বিজয়ী হয়ে ফ্ল্যাট কিনে ছিলেন তাদের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট বার্তা দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
এক কোটি টাকা জরিমানা দিতে পারছেন না তো নিজের জমির দলিল হাইকোর্টে জমা রাখুন! হাওড়ার সেই প্রোমোটার কে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। নিয়ম ভেঙে কোনো অনুমোদন ছাড়াই একটি পাঁচ তলা বিল্ডিং বানিয়ে তা বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল প্রোমোটারের বিরুদ্ধে। হাওড়ার কালীপ্রসাদ চক্রবর্তী লেনে কোনরকম অনুমোদন ছাড়াই তৈরি হয়েছিল ওই ৫ তলা আবাসন। শুধু তাই নয় সেই আবাসনটিতে প্রত্যেকটি ফ্ল্যাট ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা দরে বিক্রি করে দেয় প্রোমোটার। সেই প্রোমোটারকে ১ কোটি টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ২৯ মার্চের মধ্যে ক্ষতি পূরণের অর্থ জমা দেওয়ার কথা ছিল সেই প্রোমোটারের। কিন্তু এদিন বিচারপতি সিনহার এজলাসে সেই প্রোমোটার এসে জানায় তিনি ক্ষতিপূরণের অংক দেওয়ার মত পরিস্থিতি নেই। কিন্তু বেআইনি নির্মাণের সঙ্গে কোন রকম কোন রকম আপোষ করতে নারাজ বিচারপতি সিনহা। এ ব্যাপারে প্রোমোটার কে কোনরকম ছাড় দিতে নারাজ তিনি। বিচারপতির নির্দেশ, ওই প্রমোটারকে নিজের জমির দলিল জমা রাখতে হবে হাইকোর্টের রেজিস্টার জেনারেলের কাছে। প্রয়োজনে ওই জমি বিক্রি করে ক্ষতিপূরণের অর্থ আদায় করা হবে। এছাড়াও প্রোমোটারের ব্যাংক একাউন্টের সমস্ত তথ্য এবং সম্পত্তির যাবতীয় তথ্য হাইকোর্টের জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা। ১৫ এপ্রিল মামলার শুনানি।
এখানেই শেষ নয়। ওই প্রাইজ গুলি যারা কিনেছিলেন তারাও দ্বারস্থ হয়েছিলেন হাইকোর্টের। তাদের উদ্দেশ্যে বিচারপতি সিনহার মন্তব্য, ‘আপনারা জানেন না আপনারা কি কাজ করেছেন। ওই নির্মাণ যদি এখন ভেঙে পড়ে তাহলে আপনারা স্বর্গে যাবেন না নরকে যাবেন নিজেরাই বুঝতে পারবেন না।’ তিন মাসের মধ্যে বেআইনিভাবে কেনা ঐ ফ্ল্যাটগুলি ফাঁকা করে দিতেও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। সেই সঙ্গে বেআইনিভাবে নির্মিত বিদ্যুৎ এবং জলের কানেকশন বন্ধ করে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা।