What steps have been taken so far to remove bus stand from Dharmatala State: High Court
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
শহরে পরিবেশ দূষণ রোধে ধর্মতলা থেকে বাসস্ট্যান্ড অন্যত্র সরিয়ে নিতে এখনও পর্যন্ত কী পদক্ষেপ দেওয়া হয়েছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। ১ মার্চের মধ্যে হলফনামা আকারে ওই রিপোর্ট জমা দিতে হবে রাজ্যকে। শুক্রবার নির্দেশে এমনটাই জানিয়েছে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শম্পা সরকারের ডিভিশন বেঞ্চ।
ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, হলফনামায় রাজ্যকে জানাতে হবে বাসস্ট্যান্ড স্থানান্তরের জন্য এখনও পর্যন্ত প্রস্তাবিত নির্মাণের যাবতীয় তথ্য দিতে হবে হলফনামায়। পাশাপাশি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল চত্বরে ট্রাফির সিগন্যালেগুলির সামঞ্জস্য বিধানের ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাও উল্লেখ করতে হবে রাজ্যকে। এছাড়াও ওই সৌধের তিন কিলোমিটারের মধ্যে এলাকায় পেট্রল ও ডিজেল গাড়ি চলাচল নিয়ে রাজ্যের ব্যবস্থাপনার কথাও হলফনামায় জানাতে বলেছে বেঞ্চ। এছাড়াও মামলাকারীর পরিবেশবীদ সুভাষ দত্ত এর আগে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিলেন, ধর্মতলা থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দুরে হাইডরোডে পোর্ট ট্রাস্টের কাছ থেকে একটি জমি কিনেছে রাজ্য সেখানে সহজেই বাস স্ট্যান্ড সরানো যেতে পারে। এই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতেও রাজ্যের কী জবাব তাও হলফনামায় জানাতে হবে রাজ্য পরিবহণ দপ্তরকে। যদিও এদিন অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্তর অসুবিধার কারণে মামলা স্থগিত রাখা হয়েচে। ৮ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি।
তবে ইতিমধ্যেই বিকল্প জায়গা পছন্দ না হওয়ায় বেকে বসছেন বাস মালিক সংগঠনের একাংশ। যার জেরে রীতিমতো অস্বস্তিতে রাজ্য প্রশাসন। সংগঠনের আপত্তিতে ধর্মতলা খালি করাতে পারছে না সরকার। যা নিয়ে একাধিকবার হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হচ্ছে সরকারি আইনজীবীদের। যা নবান্নের শীর্ষ মহলের সঙ্গে এজি কিশোর দত্তের রীতিমতো সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।