Why is the headmaster, superintendent of police and ICK still missing in that school in Narendrapur?
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
নরেন্দ্রপুর স্কুল কাণ্ডে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক এখনও গ্রেপ্তার না হওয়ায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট। কেন এখনও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়নি তা জবাব দিতে এবার সরাসরি বারুইপুর পুলিস জেলা সুপারের হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সোমবার দুপুর দু’টোর সময় পুলিস সুপারকে ভার্চুয়ালি হাজির থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। সেইসঙ্গে নরেন্দ্রপুর থানার আইসি ও তদন্তকারী আধিকারিককে সশরীরে হাজির থাকতে হবে বলে নির্দেশে উল্লেখ করেছেন বিচারপতি বসু।
গত ২৭ জানুয়ারি নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরে হঠাৎ কিছু বহিরাগত ঢুকে পড়ে তান্ডব চালায়। স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের মারধর করা হয়। পরে জানা যায় ঘটনার নেপথ্যে স্কুলে প্রধান শিক্ষক ও স্কুলের অনান্য শিক্ষকদের মধ্যে বিবাদের কারণেই ওই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় হাইকোর্টে মামলা দায়ের হলে প্রধান শিক্ষক-সহ বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারির নির্দেশের পাশাপাশি স্কুলে যে আর্থিক তছরূপের অভিযোগ উঠেছিল তার তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বাকি অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হলেও এখনও ধরা পড়েননি অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক।
শুক্রবার মামলার শুনানিতে প্রধান শিক্ষকের গ্রেপ্তারি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে রাজ্যের তরফে আইনজীবী জানান, এবিষয়ে তাদের কাছে কোনও তথ্য নেই। এরপরই কেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি তার জবাব দেওয়ার জন্য বারুইপুর পুলিস জেলা সুপারকে ভার্চুয়ালি হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি বসু। পাশাপাশি নরেন্দ্রপুর থানার আইসি ও তদন্তকারী আধিকারিককে সশরীরে হাজির থাকতেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
অন্যদিকে স্কুলে আর্থিক তছরূপের ঘটনায় রাজ্যের তরফে রিপোর্ট পেশ করে জানানো হয়েছে, স্কুল থেকে ৫ হাজারেরও বেশি রশিদ উদ্ধার হয়েছে। প্রতি ছাত্রর কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে চাঁদা নেওয়া হয়েছিল। ওই রশিদগুলিতে সেই তথ্যই রয়েছে। কিন্তু কী কারণে ওই চাঁদা নেওয়া হয়েছিল তা পরিষ্কার নয়। এব্যাপারেও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বসু।