A division bench of Justice Jaimalya Bagchir sought a report from SEBI in the financial fraud case
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক : কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ দুই মেদনীপুরের বাসিন্দাদের। জেলাশাসক থেকে পুলিশ সুপারের দরজায় হন্য হয়ে ঘুরেও মেলেনি কোন সুরাহা! পূর্ব মেদিনীপুর এগরায় কৃষক বন্ধু প্লান্টেশন কোম্পানি লিমিটেড ২০০০ সালের অবিভক্ত মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাঙের ছাতার মতন অফিস খুলে বসেছিল। সেখানকার আমানতকারীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা নেয় ২০০৫ সাল পর্যন্ত বলে অভিযোগ।
আমানতকারীদের কোম্পানির পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় আট বছরের মধ্যে তারা যে টাকা কোম্পানিকে দেবেন তার ডবল দেয়া হবে। ২০০৫ সালে অবিভক্ত মেদিনীপুর জুড়ে কোম্পানির যে সমস্ত শাখা গুলো ছিল সব বন্ধ করে দেওয়া হয় ।কিন্তু এগরায় যে মূল অফিস ছিল সেটা খোলা থাকলেও আমানতকারীদের চাপে ২০২৩ সালে তা বন্ধ করে দেয় কোম্পানি। অভিযোগ কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেলেও কোম্পানির নামে থাকা সম্পত্তি ও জমি কোম্পানির যিনি এমডি অর্থাৎ ম্যানেজিং ডিরেক্টর সমিরন পান্ডা এই সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করে তার টাকা আত্মসাৎ করছে বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। লক্ষ লক্ষ আমানতকারী তারা সর্বস্বান্ত হয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন তৎপরতা না পাওয়ায় তারা কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। মামলার গুরুত্ব বুঝে প্রধান বিচারপতি কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ সেখানে মামলা স্থানান্তরিত করে দেন।
মামলার শুনানি চলাকালীন আমানতকারীদের পক্ষে আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী জানান কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে কিভাবে পরিচালন মন্ডলীর সদস্য কোম্পানির নামে থাকা জমি কিভাবে বিক্রি করে দিতে পারেন? তার টাকা আত্মসাৎ করতে পারেন? এবিষয় প্রশাসনকে বারবার জানিও কোন সূরাহা হয়নি ,তাই বিষয়টি SEBI নজরে এনে যাতে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া যায় সে বিষয়ে আদালতে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ সেবীকে (SEBI) পুরো ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে আদালতের রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেন।।