High Court ordered to demolish the illegal construction under Kanthi Municipality within 6 weeks
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি পুরসভার অন্তর্গত ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রসুলপুর মামলাকারি অমিতাভ পারিয়ারীর অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের বেশকিছু কর্মীরা তার প্রায় ৯কাঠা জমির অধিকাংশই দখল করে সেখানে বেআইনি নির্মাণ বানিয়ে ব্যবসা করে চলেছে। এবিষয় স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর সঞ্চিতা জানা অভিযোগ জানিয়ে কোন সুরাহা পাননি।
চোখের সামনে নিজের জমি দখল হয়ে যাচ্ছে নিরুপায় কাঁথি পুরসভায় অভিযোগ জানান তিনি। অথচ জবরদখলকারীদের পুরসভা থেকে নানান সুযোগ সুবিধে দেওয়া হচ্ছে। শাসক দলের ছত্রছায়ায় থাকার কারণে পুলিশ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না বলে অভিযোগ। শুধু জমি নয় তার সাথে জলাভূমি ভরাট করে নির্মাণ চলছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে কোন সহযোগিতা না পাওয়ায় অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন তিনি।
এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে মামলার শুনানিতে মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী জানান কোনরূপ নকশা ও অনুমতি ছাড়াই দিনের পর দিন বলপূর্বক জমি দখল করে বেআইনি নির্মাণ চালালেও প্রশাসন সম্পূর্ণ উদাসীন। এবং কাঁথি পুরসভার পক্ষ থেকে দেওয়া রিপোর্টে বেআইনি নির্মাণ যে গড়ে উঠেছে তা স্বীকার করে নিলেও বাস্তবে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তারা পূর্ত দপ্তরের ঘাড়েই দায় চাপিয়েছে। এবং পূর্ত দপ্তর কাথি পুরসভার উপরে দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছে। অথচ পৌরসভার অন্তর্গত যেকোনো জায়গায় বেআইনি নির্মাণ গড়ে উঠলে তার দায় সংশ্লিষ্ট পৌরসভা কেও নিতে হয়।
পুরসভার আইনজীবী জানায় পূর্ত দপ্তরের রাস্তা দখল করে বেআইনি নির্মাণ হলে তার ভাঙ্গার দায়িত্ব পূর্ত দপ্তরের। ভরা এজ্লাসের মধ্যেই কাঁথি পুরসভা এবং পূর্ত দফতরের আইনজীবীদের মধ্যে তীব্র বচসা বেঁধে যায়। বিচারপতি অমৃতা সিনহা দুপক্ষের আইনজীবীদের বচসা থামাতে ধমক দিতে দেখা যায়। একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় বিচারপতি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন নির্মাণকার্য যে বেআইনি তা পরিষ্কার। এবং পৌরসভা কে নির্দেশ দেন পুরো ঘটনায় তদন্ত করে পূর্ত দপ্তরের সঙ্গে যৌথভাবে অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলতে হবে এবং আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যেই তা কার্যকর করতে হবে। কে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ না করে সুষ্ঠুভাবে বেয়াইনের নির্মাণ ভেঙে ফেলার কাজ সম্পূর্ণ করুন।