This time in the district courts, the process of taking evidence cannot be stopped due to the absence of a lawyer.
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক : এবার জেলা আদালতগুলিতে আইনজীবীর অনুপস্থিতির কারণে সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া বন্ধ করা যাবে না। কোনও ফৌজদারি মামলায় সাক্ষী উপস্থিত থাকলে বাধ্যতামূলকভাবে সাক্ষ্যগ্রহণ করতে হবে। এই মর্মে রাজ্যের সমস্ত জেলা আদালতগুলিকে নির্দেশিকা জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট।সম্প্রতি ধর্মঘটের দোহাই দিয়ে আইনজীবীর অনুপস্থিতির কারণে একটি মাদক মামলায় সাক্ষীর উপস্থিতি সত্ত্বেও সাক্ষ্য গ্রহণ করা যায়নি। এই কারণে রীতিমত ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট এবার সমস্ত জেলা আদালতগুলিকে ওই নির্দেশিকা জারি করেছে। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চ ছিল একটি মাদক মামলার শুনানি। কলকাতা পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স থানায় ২০২১ সালে ২৯ জুলাই একটি মাদক মামলা দায়ের হয়। অভিযুক্ত শেখ সঈদের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ কেজি চরস উদ্ধার হয়। সম্প্রতি নিম্ন আদালতে সেই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। সাক্ষীরাও উপস্থিত ছিলেন কিন্তু সেদিন সংশ্লিষ্ট আদালতের আইনজীবীদের সংগঠন বিচারপ্রক্রিয়া অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যার জেরে সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়। আর এই বিষয়টিকেই ভাল ভাবে নেয়নি বিচারপতি বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ।এই মামলার সূত্রেই সমস্ত জেলা আদালতগুলিকে ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, এবার থেকে ফৌজদারি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন সাক্ষীরা উপস্থিত থাকলে সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে। ধর্মঘটের দোহাই দেখিয়ে ওই সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়ায় আইনজীবীরা অনুপস্থিত থাকতে পারবেন না। কোনও আইনজীবী ওই কারণ দেখিয়ে অনুপস্থিত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধি চালুর জন্য বিষয়টি হাইকোর্টকে অবগত করবেন সংশ্লিষ্ট বিচারক। এখানেই শেষ নয়, সংশ্লিষ্ট আইনজীবী সংগঠনের প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারির বিরুদ্ধেও একই বিধি অনুসরণ করতে হবে। নতুবা বিষয়টিকে সংশ্লিষ্ট বিচারকের কর্তব্যে গাফিলতি হিসাবে গণ্য হবে।