Court’s observation: “The family is subjected to severe harassment as the complainant is a lawyer by profession, but there is no investigation on behalf of the family when they file a complaint with the police, but they are repeatedly harassed by framing this false incident. In the future, the police officials will definitely keep an eye on the statements of both sides in such incidents. So that they investigate.
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
পুলিশ তার দায়িত্ব নিরপেক্ষতার সাথে পালন করেনি। বারুইপুর থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে এফ আই আর এবং চার্জশিট খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। মহিলা আইনজীবীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এফআইআর করে চার্জশিট জমা দিয়েছিল সেই মামলায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি শম্পা দত্ত পাল।
সোনারপুরের বাসিন্দা অনুপম সরদারও তার স্ত্রী রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মচারী। বাড়িতে দাদা বৌদি, ছোট বোন এবং ৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধ মা। অভিযোগ পারিবারিক সম্পত্তি বিবাদের জেরে দাদা ও বৌদি অনুপমবাবুর পরিবার তার বৃদ্ধ মা এবং ছোট বোনকে বিভিন্নভাবে হেনস্থা করে। এ বিষয়ে তিনি একাধিকবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে অনুপমবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে সেভাবে পদক্ষেপ না করলেও তার অভিযোগ বারুইপুর থানার পুলিশ বৌদির করা একটি অভিযোগ যথাযথ তদন্ত না করেই একের পর এক এফআইআর করেছেন।
পেশায় আইনজীবী অনুপম বাবুর বৌদির করা এফআইআরের পুলিশ চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। বারুইপুর থানার পুলিশ কোন রকম তদন্ত না করেই থানার মধ্যেই সাক্ষী নিয়ে চার্জশিট ফাইল করে দেয় বলে অভিযোগ। ২৬ শে ডিসেম্বর ২০১৭ সালে বারুইপুর আদালতে পারিবারিক বিবাদ সংক্রান্ত একটি মামলার সাক্ষী দিতে যান অনুপমবাবু এবং তার ছোট বোন। সেই সময় তার বৌদি অভিযোগ করেছেন যে অনুপমবাবু এবং তার ছোট বোন তার ওপর চড়াও হন মারধর করে এবং এ বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ ও পর্যন্ত তিনি করেছেন।
মামলাকারী অনুপম সরদারের পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী আদালতে জানান বারুইপুর আদালত চত্বরে এক মহিলা আইনজীবীকে হেনস্থা ও মারধর করা হলো অথচ সেখানকার কোন আইনজীবী বা বার এসোসিয়েশনের কোন সদস্যর নজরে পড়ল না এই ঘটনা। অথচ সাতদিন পরে বারুইপুর থানার পুলিশ অভিযোগ দায়ের করল এবং শুধু তাই নয় তদন্তকারী আধিকার ী সেখানে একদিনও গেলেন না তদন্তের স্বার্থে অথচ ঘটনাটি ঘটেছে বলে অভিযোগ অভিযোগকারিনীর। এই ঘটনায় পুলিশ চার্জশিটে পর্যন্ত ফাইল করেছে পুলিশের ভূমিকা একটা নিরীহ পরিবারকে চরম হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। বলেও আদালতে অভিযোগ করেন আশীষ বাবু।
বিচারপতি শম্পা দত্ত পাল সরকার পক্ষের আইনজীবী বিনয় পান্ডাকে মামলার কেস ডাইরি এবং তদন্তের রিপোর্ট পেশ করতে বলেন। মামলার কেস ডাইরি দেখেই বিচারপতি বিস্ময় প্রকাশ করেন এবং তিনি বলেন যে অভিযোগকারীনিকে মারধর করার যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেখানে তার কোন শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই যেখানে মারধরের মতো ঘটনা ঘটেছে। সেখানকার কোন সাক্ষী নেই এবং পুলিশ ভারতীয় ফৌজদারির ৩৪১ ৩২৩, ৫০৪ ,৫০৬ ও ৩৪ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে চার্জশিট জমা দিয়েছে। অথচ আবেদনকারীর বৃদ্ধ মা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন অভিযোগকারীনি ও তার স্বামী বাড়ি দখল করে তার বৃদ্ধা মাকে বাড়িছাড়া করল পুলিশ সেখানে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করল না পুলিশের ভূমিকা আশ্চর্যজনক মন্তব্য বিচারপতির।
আদালতের পর্যবেক্ষণ”অভিযোগকারীনি পেশায় একজন আইনজীবী থাকায় পরিবার চরমহেনস্থা স্বীকার অথচ পরিবারের তরফে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করলে তার কোন তদন্ত হয় না অথচ এই মিথ্যা ঘটনায় সাজিয়ে তাদের বারবার হেনস্থা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে অবশ্যই পুলিশ আধিকারিকরা তারা নজর রাখবেন এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের বক্তব্য নিয়েই যাতে তারা তদন্ত করেন।
এ ধরনের পারিবারিক সম্পত্তি বীবাদ সংক্রান্ত মামলায় পুলিশ কিভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি। তদন্তকারী আধিকারিক ঘটনাস্থলেই পৌঁছলেন না। অথচ চার্জশিট ফাইল করে দিল। অভিযোগের কোন সর্বাত্ত না পেয়ে পুলিশের করা এফআইআর এবং চার্জশিট খারিজ করে দেন বিচারপতি শম্পা দত্ত পাল।