The cancer-stricken teacher used to travel 124 km to go to school. Despite reporting the problem for a long time, no solution was found. The High Court intervened.
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান তার মানবিক নির্দেশেই ক্যান্সারে আক্রান্ত শিক্ষিকার বদলিতে সম্মতি দিল স্কুল সার্ভিস কমিশন।
মারণ রোগ ক্যানসার আক্রান্ত হয়েও কোন বাড়তি সুযোগ সুবিধা নেননি বাঁকুড়ার স্কুল শিক্ষিকা। দীর্ঘদিন তাঁর চিকিৎসা চলছে। সাম্প্রতিক তার কেমোথেরাপিও শুরু হয়েছে। চিকিৎসা তো শিক্ষিকা এই অবস্থায় প্রতিদিন প্রায় ১২৪ কিলোমিটার যাতায়াত করতে করতেন। শরীর এবং মন দুটোই দুর্বল হয়ে পড়েছে আর তার পক্ষে এত রাস্তা পার করে স্কুলে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছিল না। অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বাঁকুড়ার শিক্ষিকা। দীর্ঘদিন ধরে একাধিকবার সমস্যার কথা জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। অবশেষে হস্তক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট।
মামলাকারির পক্ষের আইনজীবী সুদীপ ঘোষ চৌধুরী জানান, পুরুলিয়ার ভাঙাবাঁধ হাই স্কুলের শিক্ষিকা পম্পা দাস রজক। দীর্ঘ দু-বছর মারণ রোগ ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে চলেছেন ওই শিক্ষিকা। তাঁর কেমোথেরাপি চলছে। কর্মস্থল থেকে বাড়ির দূরত্ব ৬২ কিলোমিটার। তাই নিজের জেলায় কোনও স্কুলে বদলি চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি।মানবিক দিক থেকে শিক্ষিকার চিকিৎসার কথা বিবেচনা করে, অবিলম্বে তাঁকে পুরুলিয়া থেকে বাঁকুড়ায় তাঁর বাড়ির কাছাকাছি কোনও স্কুলে বদলির নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
আইনজীবীর সুদীপ বাবু আদালতে প্রশ্ন তুলেছেন দীর্ঘদিন তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা স্কুলের শিক্ষক থেকে ছাত্র সকলেই বিষয়টি জানতেন কিন্তু তা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক-শিক্ষকার বদলির আবেদন সংক্রান্ত উৎসশ্রী পোর্টাল বন্ধ থাকায় কোনও সুরাহা মিলছিল না। তাই বাধ্য হয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন শিক্ষিকা। মামলায় শিক্ষিকার চিকিৎসার কথা মাথায় রেখে সহানুভূতির সঙ্গে তাঁর বদলির আবেদন স্কুল সার্ভিস কমিশনকে খতিয়ে দেখে অবিলম্বে পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা।