After the hearing of the case filed regarding the investigation of the incident of ED harassment in Sandeshkhali, the verdict was suspended
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
আগাম জামিনের মামলা দায়ের করেছে সন্দেশখালি বেতাজ বাদশা পুলিশী হেফাজতে থাকা শেখ শাহজাহান। অন্য ডিভিশন বেঞ্চের বদলে হাইকোর্টের দায়ের করা শত প্রণোদিত মামলার সঙ্গেই সেই মামলার শুনানি চায় শেখ শাহজাহান। সংশ্লিষ্ট ডিভিশন বেঞ্চে শাহজাহানকে আবেদন করতে হবে বলে জানিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ওই ডিভিশন বেঞ্চ মামলা ছেড়ে দিলে তারপর শতপ্রণোদিত মামলার সঙ্গে শাহজাহানের আগাম জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ শাহজাহানের আইনজীবীকে সম্পর্ককে নোটিশ সার্ভ করতে হবে। বুধবার মামলার শুনানি হবে।
অন্যদিকে, ইডির অভিযোগ কলকাতা হাইকোর্ট ইতিমধ্যেই তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে কিন্তু তা সত্ত্বেও শাহজাহানকে গ্রেফতার করার পর তদন্ত প্রক্রিয়া জারি রেখেছে রাজ্য। সিআইডিকে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। এবং সিআইডি ইডি আধিকারিকদের ফৌজদারী বিধির ১৬০ এবং ৯১ ধারায় নোটিশ পাঠিয়েছে। এই নোটিশের বিরোধিতায় এদিন অতিরিক্ত হলফনামা জমা দিয়েছে ইডি।
এদিন সন্দেশখালীর ঘটনার তদন্ত কার হাতে থাকবে তা নিয়ে জোরালো সওয়াল করে ইডি এবং রাজ্য সরকার। রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত দাবি করেন, সন্দেশখালি তে ই ডি আধিকারিকদের উপর হামলার পর মোট তিনটি f ir দায়ের হয়েছিল এই এফআইআর গুলিতে পুলিশের বিরুদ্ধে কোনরকম অভিযোগ নেই। এছাড়াও গত ২৭ জানুয়ারি এই ঘটনার প্রেক্ষিতে 307 ধারাও যুক্ত করা হয়েছে। ফলে যেহেতু রাজ্য পুলিশের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই তাই রাজ্য পুলিশের এই মামলায় তদন্ত করতে বাধা কোথায়।
কেন্দ্রের তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু পাল্টা দাবি করেন, রেশন দুর্নীতির সঙ্গে মন্ত্রীর নাম জড়িয়েছে তিনি হেফাজতে রয়েছেন পাশাপাশি যে ব্যক্তি অর্থাৎ শেখ শাহজাহান তিনিও শাসকদলের প্রভাবশালী নেতা। তাই এই ঘটনায় পুলিশ কখনোই তদন্ত করতে পারে না সরাসরি মামলার তদন্তভার সিবিআইকে হস্তান্তর করা হোক। ইডির আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী সেই সঙ্গে আরো যোগ করেন ঘটনার দিন তিনটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল একটি এফআইআর দায়ের করেছিল ন্যাজাট থানার পুলিশ। অন্যটি দায়ের করা হয় শাহজাহানের কেয়ারটেকার এর পক্ষ থেকে এবং শেষ এফ আই আর টি দায়ের করেন আক্রান্ত ইডি আধিকারিকরা। কিন্তু ইডি আধিকারিকদের এফআইআর ডায়াল করার অনেক আগেই পুলিশ এবং শাহজাহানের কেয়ারটেকার ওই এফ আই আর দুটি দায়ের করে ফেলেছিল। যেখানে আক্রান্ত এডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মহিলাদের উপর নির্যাতন এবং ডাকাতির মত অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ প্রথম দিন থেকেই তদন্তের নামে প্রহসন করছে। এবং সেই প্রক্রিয়া এখনো জারি রয়েছে। ফলে কোনভাবেই এই মামলার তদন্তভার পুলিশের হাতে দেওয়া যেতে পারে না। সিবিআই এর তরফ থেকে এদিন মামলা শুনানিতে জানানো হয়েছে আদালত এই মামলার তদন্তভার দিলে তারা তদন্ত করতে প্রস্তুত।
সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আপাতত রায়দান স্থগিত রেখেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।