School mid-day meal is cooking in pond water! The High Court fixed the time to provide drinking water
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
জলের অভাবে পুকুরের জল পান করতে বাধ্য হচ্ছে সরকারি প্রাথমিক স্কুলের খুদে পড়ুয়ারা। মিড-ডে মিলের রান্নাও হচ্ছে পুকুরের দূষিত জলে। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। অভিযোগ শুনেই বিচলিত প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, এমন অবস্থা মেনে নেওয়া যায় না। দু’সপ্তাহের মধ্যে জলের ব্যবস্থা করতে হবে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকুলতলা থানার জয়নগর দুই ব্লকের পূর্ব রঘুনাথপুর এলাকায় রয়েছে রঘুনাথপুর সদরচক ফ্রি প্রাইমারি স্কুল। অভিযোগ এই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই পনীয় জলের ব্যবস্থা। স্কুলে নেই কোনও শৌচাগারও। প্রতিদিন স্কুলে মিড-ডে মিল রান্না হয়। কিন্তু পরিশ্রুত পানীয় জলের অভাবে পাশ্ববর্তী পুকুরের জলেই নিত্য দিন রান্না হয়। পাশাপাশি বাড়ি থেকে আনা জল ফুরিয়ে গেলে বাধ্য হয়ে ওই পুকুরের জলই পান করতে বাধ্য হয় খুদে পড়ুয়ারা। অভিযোগ, ২০১৬ সাল থেকে একই অবস্থা চলছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ বিডিও থেকে শুরু করে জেলাশাসকের কাছে একাধিকবার দরবার করলেও কোনও সুরাহা হয়নি। আট বছর কেটে গেলেও পাকাপাকিভাবে পানীয় জলের ব্যবস্থা হয়নি। অথচ স্কুলে পড়ুয়া সংখ্যা নেহাত কম নয়। দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা চলার পর অবশেষে বাধ্য হয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চন্দন কুমার হালদার-সহ আরও বেশ কয়েক জন পড়ুয়ার অভিভাবক।
বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে অভিযোগ উঠতেই সরকারি আইনজীবী বলেন, ইতিমধ্যেই টেন্ডার ডাকা হয়েছে। জলের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশ স্কুলে যে দু’টি শৌচাগার রয়েছে সেগুলিও মেরামতি ব্যবস্থা করা হবে। এই বক্তব্য শুনেই প্রধান বিচারপতি বলেন, দু’সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা করুন। তখন আরও একটু সময় চেয়ে নেন সরকারি আইনজীবী। এতেই চটে যান প্রধান বিচারপতি। বলেন, চাইলে আপনারা ম্যাজিকের মত ২৪ ঘণ্টায় জলের ব্যবস্থা করতে পারেন। আর সেখানে দু’সপ্তাহ সময় দেওয়া হচ্ছে। তাও বাড়তি সময় চাইছেন? এরপর অবশ্য আর কথা বাড়াননি সরকারি আইনজীবী। দু’সপ্তাহ পর আদালতের নির্দেশ কার্যকর করে ছবি-সহ রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।