It is alleged that the municipalities are taking lakhs of extra rupees from the citizens for mutation of multi-storied flats or houses. However, the state government has repeatedly issued notices that the municipality will not be able to take any additional money in exchange for mutation in the name of service charge
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
নগরায়নের ফলে শহর শহরতলীতে বাড়ছে বড় বড় অট্টালিকা। মানুষের জীবিকা বা উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার সুযোগ নিতে দলে দলে মানুষ ভিড় করছে গ্রাম থেকে পুরসভা এলাকায়। দ্রুত ছোট- বড় শহরগুলিতে গড়ে উঠছে বহুতল আবাসান। এইসব বহুতলের ফ্ল্যাট বা বাড়ি মিউটেশন করে দিতে পুরসভা গুলি লক্ষ লক্ষ টাকা বাড়তি নাগরিকদের থেকে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ। অথচ রাজ্য সরকার বারংবার নোটিশ জারি করে জানিয়ে দিয়েছে, এইভাবে সার্ভিস চার্জের নামে মিউটেশন করার বিনিময় কোন বাড়তি টাকা পুরসভা গুলি নিতে পারবে না। কিন্তু কে শোনে কার কথা!
এই পরিস্থিতিতেই বিধাননগর পুর নিগমের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন একটি অভিজাত বহুতলের আবাসিকরা। সম্ভবত আগামী সপ্তাহে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই মামলার শুনানি হবে।
গোটা রাজ্যেই ফ্ল্যাট বা বাড়ির মিউটেশনের জন্য ২০০ টাকা এবং প্রসেসিং ফি ১০০ টাকা নেওয়ার কথা পুরসভা গুলির। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে নিউ টাউনে মার্লিন ফিফ্থ এভিনিউ নামে একটি আবাসনে বাসিন্দারা বসবাস শুরু করেন। তারা বিধান নগর পুরনিগমের কাছে মিউটেশন করার জন্য আবেদন করেন। পুরসভা জানিয়ে দেয়, দলিলে ফ্ল্যাটের দামের ওপর ০. ৮% হারে সার্ভিস চার্জ নেওয়া হবে প্রতিটি মিউটেশনের জন্য। সেখানকার বাসিন্দা নবীন আগারওয়াল সহ ৩৩ জন আবাসিক কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন। নবীন বাবু প্রায় দেড় কোটি টাকা দিয়ে ওই আবাসনে একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন।
সেক্ষেত্রে পুরসভার দাবি অনুযায়ী তাকে মিউটেশন করানোর জন্য ৩০০ টাকার সঙ্গেই আরো দেড় লক্ষ টাকা দিতে হবে। যা একেবারেই বেআইনি বলে অভিযোগ মামলা কারীদের। এই মামলার আরেক অংশীদার কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী অরিন্দম দাস বলেন, রাজ্য সরকার ২০১৫ ও ২০২২ সালে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সব পুরসভাকে জানিয়ে দেয়, অর্থ দপ্তরের রুল ১২১ ধারা অনুযায়ী, কোনও পুরসভা মিউটেশন করার জন্য বাড়তি চার্জ নিতে পারবে না। কিন্তু তার অভিজ্ঞতা, একমাত্র কলকাতা কর্পোরেশন ছাড়া বিভিন্ন পুরসভায় নিজের নিজের মতো করে সার্ভিস চার্জ বাবদ একটা মোটা টাকা হাতিয়ে দিচ্ছে নাগরিকদের থেকে। এর বিরুদ্ধে একাধিকবার হাইকোর্টও নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু তারপরেও এই পকেট কাটা চলছে বলে অভিযোগ ওই ভুক্তভোগী আইনজীবীর।