Unprecedented disputes between the municipality and the police in the Ejlas full of illegal construction! Because the High Court ordered to appear, the engineer was called and threatened by Osir!
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
ভরা এজলাসে নজিরবিহীন বিবাদে জড়াল কলকাতা পুরসভা এবং কলকাতা পুলিশ। বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে পুরসভাকে অসহযোগিতার অভিযোগে বৃহস্পতিবার নারকেলডাঙ্গা থানার ওসিকে সরস্বতীরে হাজিরা নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ওসির হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। অভিযোগ বিচারপতি বৃহস্পতিবার ওসিকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশের পরই পুরসভার সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে থানায় ডেকে পাঠিয়েছিলেন অভিযুক্ত ওসি। আরো অভিযোগ তাঁকে থানায় ডেকে নাকি ‘চমক-ধমক’ও দেওয়া হয়।
এরপর এদিন সকালে ছিল মামলার শুনানি। সশরীরে হাজিরা দেন নারকেলডাঙ্গা থানা ওসি। রাজ্যের আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় ওসির হয়ে অভিযোগ করে বলেন, ‘পুরসভার আইনজীবী আদালত কে বিপথে চালিত করছে। পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ ভিত্তিহীন। ওই বেআইনি নির্মাণটি আগেই খালি করে দেওয়া হয়েছে। নির্মাণের ভেতরের অংশ ভাঙার কাজ করা হয়েছে জানুয়ারি মাসে। তাও দুর্ভাগ্যজনকভাবে পুরসভা পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করছে।’ রাজ্যের আইনজীবীর এই সওয়ালের তীব্র বিরোধিতা করে পুরসভার আইনজীবী দেবজিৎ মুখোপাধ্যায় পাল্টা দাবি করেন, ‘পুলিশ নিজেই হাইকোর্টে রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছে এই কাজ করতে থানা সক্ষম নয়। শুধু তাই নয় আদালত ওসিকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়ার পরই পুরসভার সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার কে থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল।’
এখানেই শেষ নয় এজলাসে উপস্থিত ছিলেন সেই সব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার। তাকে তখন ডেকে পাঠান বিচারপতি সিনহা। বলেন, ‘আপনাকে কি থানায় ডেকে শাসানো হয়েছে?’ উত্তরে সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার বলেন, ‘আমাকে থানায় ডেকে বলা হয়েছে রমজান মাস চলছে এবং ভোট এসে গেছে তাই ওই বাড়ি ভাঙতে ফোর্স দেওয়া যাবে না।’ বিচারপতি তখন বলেন, ‘আপনাকে কি লিখিতভাবে কিছু জানানো হয়েছে?’ ওই ইঞ্জিনিয়ার তখন বলেন, ‘শুধু মৌখিকভাবে বলা হয়েছে।’
কলকাতা পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে নারকেল ডাঙা থানা এলাকার ৩ডি/এইচ/৭ এম এন চ্যাটার্জি সরনিতে কোনও অনুমোদন ছাড়াই তৈরি হয়েছিল আস্ত একটি ছয় তলা বিল্ডিং। রাতারাতি ওই নির্মাণে বসতিও গড়ে উঠেছিল। বিষয়টি নজরে আসার পর ওই বিল্ডিং ভাঙার কাজ শুরু করতে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করে পুরসভা। কিন্তু চেষ্টা করলেও ওই বিল্ডিংটি খালি করা যায়নি বলে অভিযোগ। এরপরই হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। সেই মামলায় নারকেল ডাঙা নারকেল ডাঙা থানার পুলিসকে অবিলম্বে ওই বিল্ডিংটিকে খালি করে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। কিন্তু পুরসভার তরফে জানানো হয়, পুলিস কোনওরকম সাহায্য করছে না তাই ওই বেআইনি নির্মাণটির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা যাচ্ছে না। থানার তরফে যে রিপোর্ট জমা পড়েছে তাতে উল্লেখ, এই কাজ করতে থানা সক্ষম নয়। এই রিপোর্ট দেখার পরই ওসিকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা।
এদিন মামলা শুনানিতে উঠে আসে ওই বিল্ডিং এর এক তলায় এখনো একটি খাবার হোটেল চলছে। পুলিশ ও পুরসভার বিবাদ মিটিয়ে বিচারপতি শেষ পর্যন্ত এদিন নির্দেশ দেন শনিবার থেকে ওই বিল্ডিংটি ভাঙার কাজ পুরোপুরি শেষ করতে হবে, নিচ তলায় থাকা হোটেলটি খালি দিতে হবে। তবে গার্ডেনরিচ কান্ডের পরও বেআইনি নির্মাণ নিয়ে পুরসভা এবং পুলিশের মধ্যে এই বিবাদ কার্যত নজিরবিহীন বলে মনে করছে আইনি মহল।