Make others laugh and forget your own pain. Harbola artist Shyamal Mondal passed away prematurely.
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক
তাকে টিভিতে দেখা যায় নি, সে সমাজমাধ্যমে পরিচিত মুখ নয়। সে রয়ে গেল হাওড়া থেকে কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টে থেকে ব্যাংকশাল আদালত চত্বরেই। কখন সখনো ধর্মতলা চত্বরে দেখা যেত তাকে।
শিল্পীর কোন বর্ণনা হয় না। গরীব হোক বা বড়লোক তার একটাই পরিচয় সে একজন শিল্পী। গত দু দশক ধরে এ শহর ছিল তার প্রাণ ভোমরা। হাওড়া থেকে সাইকেলে চড়ে কলকাতায় বিভিন্ন জায়গায় মুখে সবুজ বাঁশি নিয়ে নানান ধরনের পশু পাখিদের ডাক থেকে হটাৎ তৈরি করা ছড়া কেটে সহজেই মানুষের মন জয় করে নিত।
বুকে পাথর চাপা কষ্ট নিয়েই লোক হাসান ছিল তার নেশা। সেই ভাইরাল হওয়া হরবোলা শ্যামল মণ্ডল সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেল হাসির রাজা। মাত্র ৩৫বছর বয়সে থাইরয়েড থেকে ব্রেনে টিউমার। তা সত্বেও কাউকে কোনদিন বুঝতে দেয়নি। শুধুমাত্র অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারলো না সে। অকালে চলে গেলেন শিল্পী শ্যামল মণ্ডল।
আর শোন যাবে না তার মুখের ছড়া। শোনা যাবে না অবিকল পশু ও পাখির আওয়াজ। কথায় কথায় ছড়া কাটত শ্যামল। কোন রাস্তার মোড় গাছ তলায় বা ভরা বাজার। তার কথায় হেসে পেটে খিল ধরে গিয়েছে। কিন্তু সকলে হাসলে তার সেই কষ্টের কথা কাউকে জানতে যেমন দেয়নি কেউ কোনদিন জানতেও চায়নি। এমন মানুষের সংখ্যা অগণিত। তার কষ্টে ভারাক্রান্ত মনেও ফুটতো হাসির ফোয়ারা। এখন থেকে শ্যামলকে মিস করবেন সকলেই।
হাওড়ায় সে ছড়াকাটা শ্যামল নামে পরিচিত ছিল। আট থেকে আশি সকল বয়সের মানুষকে হাসাতে হাসাতে সকাল থেকে সন্ধ্যা হয়ে যেত। কিন্ত অভাব অনটন দুঃখ কষ্ট তার সর্বক্ষণের সঙ্গী। বাড়িতে ভাই মা, স্ত্রী নিয়ে ছিল তার সংসার।কলকাতা হাইকোর্ট থেকে বানকশাল কোর্টে কাগজ, পেন, পেসিল এনে দিতেন আইনজীবীদের। সেখান থেকে দিনে ১৫০টাকা রোজগারে তার জীবনযাপন।