Former Justice Abhijit Gangopadhyay made a big announcement for the people of the state after coming from the courtroom to the political arena.
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি পদে থাকাকালীন এরাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে একের পর এক মামলায় রাজ্য সরকারের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে তিনি আদালতের আঙ্গিনায় আর থাকতে চান না। তিনি চান বৃহত্তর ও মানুষের জন্য কাজ করার, যে কারণে তিনি বিচারপতি পথ থেকে ইস্তফা দিয়ে সরাসরি রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়লেন।
বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করলেন প্রাক্তন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাদের এই রাজনৈতিক যোগ নিয়ে বেশ কিছু মানুষ তার যেমন নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তার পাশাপাশি বহু মানুষ আশাবাদীও হয়েছেন যে হয়তো তাদের জন্য কিছু করবেন প্রাক্তন বিচারপতি।
কলকাতা হাইকোর্টের ১৭ নম্বর এ জেলাশে বসে কখনো তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত চাকরিপ্রার্থীকে চাকরি দিয়েছেন আবারো বা কখনো বঞ্চিত চাকরি প্রার্থী নিয়মিত এজলাসে কেন বসেছিলেন সেই প্রশ্নের উত্তর পেয়ে তাকেও চাকরির বন্দোবস্ত করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। শুধু কি তাই প্রত্যন্ত গ্রাম বাংলা থেকে আসা মানুষের দুঃখের কথা তিনি এজ্লাসে বসে শুনেছেন এবং সমাধান করার চেষ্টাও করেছিলেন।
ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করার পরেই একটি সংবাদ মাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন এ রাজ্যে কৃষি ,স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শিল্প, সমাজ ব্যবস্থার আমল পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন বিচারপতি। সমাজের দুর্বৃত্তদের দৌরাত্মনীয় প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন বিচারপতি। স্বাস্থ্য পরিকাঠামো থেকে শিক্ষা পরিকাঠামো রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরেছিলেন তিনি।
২০২৪ লোকসভা নির্বাচন তারই পরবর্তী পর্যায়ে 2026 এর রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচন। দুটি নির্বাচনে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে পরাস্ত করার ডাক দিয়েছেন তিনি। নতুন ভোরের আলোর স্বপ্ন দেখিয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দুর্নীতির যাতে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে না পারে তাই পুলিশকে সঠিকভাবে কাজ করার জন্য খোলা হাতে ছাড় দেবেন। আইনের শাসন যাতে চলে সেই বন্দোবস্ত করতে হবে তবে যাতে একজনও নিরাপরা ব্যক্তি সাজা না পায় সেটাও নজর রাখবে।
পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন শিল্পের নামে ঢাক ডল পিটিয়ে প্রতিবছর বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন করেন শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু সেই শিল্পের হাকডাক থাকলেও বাস্তবে তার কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ঢেলে সাজাতে হবে গ্রামবাংলা বাংলায় ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে শুরু করে চিকিৎসা পরিষেবা থেকে চিকিৎসকদের বদলি সংক্রান্ত বিষয়ক বিশেষ নজর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
যারা উচ্চশিক্ষিত তারাও রাজ্যে থাকতে চাইছেন না, যারা গ্রামবাংলায় চাষবাস করেন সেই চাষেরও সঠিক মূল্য তারা পাচ্ছেন না। ফলে পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে অন্য রাজ্যে অর্থ উপার্জনের জন্য চলে যাচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষিত হওয়া এবং শিক্ষা না পাওয়া মানুষগুলো যেন একই সরলরেখায় চলছেন বলেও মন্তব্য করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।