Start the second innings with politics! Former Justice Abhijit Gangopadhyay left the courtroom and entered politics
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ সময় এলো কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির কাছে। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিলেন তিনি বিজেপিতে যোগদান করছেন।এবার জীবনের সেকেন্ড ইনিংস শুরুর পথে সদ্য অবসর প্রাপ্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।আগামী ৭ই মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরেই তিনি যোগদান করতে চলেছেন।
বিজেপিতে এসেই লোকসভা নির্বাচনে লড়বেন? কোন কেন্দ্র থেকে? তিনি জানান কোন সিট থেকে লড়ব বিজেপি শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব বলবেন। টিকিট পাই বা না পাই আপাতত যোগদান করলাম আমি বিজেপিতে কারণ বিজেপিই এই মুহুর্তে সর্বভারতীয় দল যারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। মূলত এই যে চারপাশে এত দূর্নীতি তার বিরুদ্ধে লড়তেই আমার যোগদান”।
এদিন তিনি প্রশ্ন তোলেন যে শাসকদলের কি এটাই কালচার একজন বিচারপতিকে আক্রমণ করা? কেন অন্য দল নয় কেন বিজেপি সেটাও স্পষ্ট করে তিনি বলেন আমার সঙ্গে অন্য দলের মিলমিশ হল না। যেমন সিপিএম আমি তো ঈশ্বর বিশ্বাসী তাই গেলাম না। কংগ্রেস তো পরিবারের জমিদারি। রাহুল গান্ধীর থেকে বেশি যোগ্যতার নেতারা তো ঘুরে বেড়াচ্ছেন”।
শাসক দলকে আক্রমণ করে তিনি আরও জানান তৃণমূল কংগ্রেস ভেতর ভেতর ভেঙে পড়ছে এরা আর বেশিদিন নেই” আক্রমণ শানান অভিষেককেও তবে নামোল্লেখ না করে। তিনি বলেন “যদি আমাকে বিজেপিতে দাড় করায় আমি কি ওনার বিরুদ্ধে ভয় পেয়ে পালিয়ে যাব? আমিও দেখিয়ে দেব ওনাকে লক্ষ লক্ষ ভোটে হারাব”। না এখানেই না থেমে আরও যোগ করে বলেন “টিএমসি তো যাত্রা দল। দুষ্কৃতীদের দল। তাদের যাত্রার নাম মা মাটি মানুষ। ওদের কেউ কেউ হঠাৎ বিবেকবান হয়ে ওঠে। কিছু লোক ভালো যারা না বুঝে দলে গেছেন আর বেরতে পারছেন না। আমার মনে হচ্ছে টিএমসি যেভাবে নড়বড়ে হচ্ছে তাতে ২০০৯ সালে বামেদের মত অবস্থা হবে”।
তিনি বিচারপতি থাকাকালীন অনেক বার শাসক দলের কটাক্ষের মুখে পড়েছেন আজ সেসবের উত্তর দিয়ে বললেন বিচারপতিকে যারা আক্রমণ করছেন তাদের পিতামাতা বা পারিবারিক তরফে পাওয়া শিক্ষার মধ্যে ফাঁক আছে। সব মিলিয়ে এই যে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন তিনি, সেখানেও বেশ দাপটের সঙ্গে কাজ করবেন তা স্পষ্ট।
লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার থেকে তিনি নির্বাচনে যদি লড়াই করেন তাহলে তালপাতার সেপাই কে লক্ষ লক্ষ ভোটে পরাজিত করতে পারবেন। কলকাতা হাইকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী তথা লোকসভার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কেও এদিন আক্রমণ করতে ছাড়েননি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।