Will East Bengal bring the national trophy to Kolkata after a long time? This question is everywhere now
বিদেশ
দ্যা হোয়াইট বাংলা স্পোর্টস ডেস্ক : দীর্ঘ দিন পরে কলকাতা কি জাতীয় ট্রফি আনবে ইস্টবেঙ্গল। এই প্রশ্নই এখন সর্বত্র। ফেডারেশন কাপ উঠে যাওয়ার পর আইলিগ বা আইএসএল আর জেতা হয়নি লালহলুদের। সুপার কাপের ডার্বিতে মোহনবাগানকে হারিয়ে গ্রুপ লেগে অলউইন রেকর্ড ধরে রেখেছে ক্লেইটন সিলভারা। সেই রেকর্ডে ভর দিয়েই সুপার কাপের সেমিতে পৌঁছেছে নন্দকুমার, ক্লেইটনরা। সৌজন্যে অবশ্যই স্বপ্নের ফেরিওয়ালা কার্লেস কুয়াদ্রাত। ডুরান্ডের অসফল কাজটা সফল করতে চান সুপার কাপে পরের দুই ম্যাচে। ডুরান্ড চ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে নিজেদের শক্তি বুঝিয়ে দিয়েছে লালহলুদ। ডার্বির পরের ম্যাচ সব সময় কঠিন হয়, কারণ ফুটবলারদের মধ্যে আত্মতুষ্টি ঢুকে পড়তে পারে। সেকথা মাথায় রেখেই ফুটবলারদের পরের ম্যাচের দিকেই ফোকাস করতে বলছেন কুয়াদ্রাত। বাগানের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয়ের মধ্যে দুটি গোল ছিল ব্রাজিলিয়ান ক্লেইটন সিলভার। প্রত্যেক ম্যাচেই জোলে উঠছেন এই তারকা স্ট্রাইকার। অপর গোলটি করেন নন্দকুমার। যে দুটি ডার্বিতে নন্দকুমার গোল করলেন, সেগুলোয় ইস্টবেঙ্গলই জিতল। বুধবার রয়েছে জামশেদপুরের বিপক্ষে সেমিফাইনাল ম্যাচ। লালহলুদে ট্রফির খরা কাটাতে, আপাতত সেই ম্যাচেই ফুটবলারদের মনোনিবেশ করতে বলছেন কুয়াদ্রাত। কারণ তিনি এতদিনে বুঝে গেছেন সর্বভারতীয় ট্রফি জিতলে লালহলুদ সমর্থকরা তাকে এবং ফুটবলারদের মাথায় তুলে রাখবেন। একদিকে ইস্টবেঙ্গলের যখন উতসব তখন মোহনবাগানে শুধুই নিস্তবধতা। চিরপ্রতিদ্বন্দীর বিপক্ষে হারের শোক। পেনাল্টি মিস করে ভিলেন দিমিত্রি। অথচ যা লড়াই করার করেছেন তিনি। তবে খেলায় হার জিত থাকবেই। বিশ্বকাপার কামিন্সও ব্যর্থ ডার্বিতে। কয়েকদিন পর ফের আইএসএল ডার্বি। সেই ম্যাচেই সুপার কাপ ডার্বির প্রতিশোধ নিতে চান কামিন্স। তাই বিশ্বকাপারও নিজে সমর্থকদের কাছে হারের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। কত তাড়াতাড়ি ডার্বি হারের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারে সবুজ মেরুন শিবির, সেটাই এখন দেখার। পাশাপাশি কলকাতায় কাপ আনুক ইস্টবেঙ্গল, আশায় বঙ্গবাসি। কারণ ইস্টবেঙ্গল ট্রফি জিতলে তা বাংলার ফুটবলের জন্য সেরা বিজ্ঞাপন হবে। কারণ মোহনবাগান বর্তমানে আইএসএল এবং ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন। সুপার কাপ ইস্টবেঙ্গল জিতলে ভারতবর্ষে ফুটবলের এক বছরের সব ট্রফিই থাকবে বাংলায়।